২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

গণহত্যার দায়ে আ.লীগের দোসর ১৪ দলকেও আইনের আওতায় আনতে হবে : মান্না

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ছাত্র-জনতা হত্যার দায় ১৪ দল এড়াতে পারেন না দাবি করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে যারা আছে ১৪ দল, তারা দায় এড়াতে পারবে না। কিন্ত মূল আদেশ দেয়া, হুকুম দেয়ার মালিক হলেন আওয়ামী লীগ এবং বিশেষত শেখ হাসিনা। বাকীরা খুদ-কুড়া পাওয়ার আশায় হুকুম তামিল করেছে। মন্ত্রীত্ব যাতে থাকে, ব্যবসা যাতে করতে পারে। সেজন্য খুব নিকৃষ্ট ধরনের দালালি করেছেন।তারা এখন ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত। তারা জনতার কাতারে এসে দাড়াতে পারবে না।’

সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে পীরগঞ্জের বাবনপুরে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও সাঈদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেলসহ গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মান্না বলেন, এই সরকারে যারা আছে তারা প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কিছু করবে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও সুনির্দিষ্ট ঘটনার প্রেক্ষিতে তাদের কাজগুলো চলতে থাকবে। এই সরকার বলেছে যে সংস্কার করে তবেই ভোট দেব। তার মানে ভোট দেয়া পর্যন্ত এই সংস্কার অব্যাহত থাকবে। এই সংস্কার মানে যারা দাগী, ক্রিমিনাল ও ফ্যাসিবাদকে সহায়তা করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার বিষয় সরকারের নজরে আছে।’

স্থানীয় সরকারের জন প্রতিনিধিদের অপসারণ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি মান্না বলেন, কাউকে অপসারণের পর সরকার সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করেছে। এটা ভুল কিছু নয়। কারণ ভোট তো কোথাও হয়নি। তবে কথা হতে পারে নিয়োগ প্রক্রিয়াটা যেন যথাযথভাবে হয়। এ সরকারের ১২-১৩ দিনে প্রশ্ন করার মত খুব একটা কিছু পাওয়া যায়নি। সরকার পুরো বিষয়গুলো ধীরে ধীরে দৃঢ়তার সাথে করছে। আমরা তাদের সমর্থক নই, আমরা ‘ওয়াচডগ’।

এ সময় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আমরা একসময় যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতাম, রাষ্ট্র সংস্কারের স্বপ্ন দেখতাম বাংলাদেশের ছাত্ররা সে পথে হেঁটেছে। তারা আমাদের পথ দেখিয়েছে। বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে এই মহাকাব্যিক আত্নত্যাগ দুনিয়াতে বিরল ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে।

আবু সাঈদ বন্দুকের নলের বিপরীতে দাঁড়িয়ে সাহস যুগিয়েছে পরে বন্দুকের সামনে দাঁড়ানো মানুষের জন্য বন্দুক একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। ছাত্ররা ভয়ের বিপরীতে সাহসী বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে।

আপনার কাইয়ুম আরো বলেন, কারো সাহসের প্র‍য়োজন হলে আবু সাঈদের এখানে আসবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আস্থার ব্যাপারে তিনি বলেন,ছাত্র-জনতার আত্নত্যাগের কারণে তাদের সরকারে যাবার সুযোগ হয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা এই আন্দোলনের উপড় দাঁড়িয়ে আছেন।শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে তারা কোন ব্যত্যয় করতে পারবে না।


আরো সংবাদ



premium cement