২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত ছাত্র-আন্দোলনে আহত বুলবুল

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন চিরিরবন্দর থেকে ঢাকায় আসা এক দিনমজুর। পরিবারের সদস্যদের মুখে একটু হাসি ও সংসারের সুখ-স্বাচ্ছন্দ ও স্বচ্ছলতার জন্য তিনি ঢাকায় আসেন।

বলছিলাম দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের খামার জয়দেবপুর গ্রামের বুলবুল সরকারের (৩৫) কথা। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। ঢাকার মেরুল বাড্ডা এলাকায় তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।

জানা গেছে, বুলবুল সরকার ওই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।

গত ৫ আগস্ট সকাল ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মিছিল বের হলে তিনিও সেই মিছিলে যোগদান করেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ গুলি করলে বুলবুল সরকারও গুলিবিদ্ধ হন। বুলবুল সরকারের বাম হাত ও ডান পায়ে গুলি লাগে। এ সময় ছাত্র-জনতা তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে এএমজেড হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। এরপর সেখান থেকে অসুস্থ অবস্থায় তার ভাইয়ের মাধ্যমে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। তিনি গুলির আঘাতের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গত ৮ আগস্ট দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এতে তিনি তার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। হাত-পা ভালো হবে নাকি পঙ্গু হয়ে সারা জীবন কাটাতে হবে।

এ দিকে, গতকাল সোমবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আফতাবউদ্দিন মোল্লা, উপজেলা আমির প্রভাষক রাশেদুল হক, সাবেক উপজেলা আমির লুৎফর রহমান, জেলা ওলামা বিভাগের সম্পাদক মাও. সাজেদুর রহমান, জামায়াতের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাও. আফছার আলী প্রমূখসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ আহত বুলবুল সরকারকে দেখতে যান এবং তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।

এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আহত বুলবুল সরকারের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।


আরো সংবাদ



premium cement