সৈয়দপুরে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়
- মো: জাকির হোসেন, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
- ১২ আগস্ট ২০২৪, ১৬:১৯
কোটা বিরোধী আন্দোলনের পথ ধরে গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আমাদের করণীয় বিষয়ে সংবাদকর্মীদের সাথে মত বিনিময় করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের নেতৃবৃন্দ।
উদ্ভুত পরিস্থিতির আলোকে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও তাদের পরামর্শ গ্রহণ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ নানা ক্ষেত্রে হামলা ও নৈরাজ্য বিষয়ে সৃষ্ট গুজব অপনোদন করে নিরাপত্তার আশ্বাস প্রদানের লক্ষ্যে ধারাবাহিক মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে এই আয়োজন করা হয়।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় সৈয়দপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা আমির হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন শহর আমির মোহাম্মদ শরফুদ্দিন খান, সৈয়দপুরের প্রথিতযশা সাংবাদিক, দৈনিক আলাপনের সম্পাদক আমিনুল হক, প্রেক্লাবের সভাপতি আবু বিন আজাদ রতন ও সাধারণ সম্পাদক জিকরুল হক।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নাজির হোসেন নজুর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক শাহজাহান আলী মননের উপস্থাপনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সময় টিভির স্ট্যাফ রিপোর্টার সাকির হোসেন বাদল, প্রথম আলোর সৈয়দপুর ও পার্বতীপুর উপজেলা প্রতিনিধি এম আর আলম ঝন্টু, দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি রুখসানা জামান শানু, দৈনিক জনকণ্ঠের এম আর মহসিন ও দৈনিক নয়া দিগন্তের জাকির হোসেন।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সৈয়দপুর উপজেলা শাখার পেশাজীবী বিভাগের সভাপতি খালিদ সাহাব, সেক্রেটারি ফারহান আলমসহ প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ ও বাইরের সকল স্তরের সংবাদকর্মী।
প্রধান অতিথি সৈয়দপুর উপজেলা জামায়াতের আমির হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম বলেন, বাকশালি আওয়ামী লীগের অপশাসনের ফলে দেশের সব ক্ষেত্রেই চরম দলীয়করণে বৈষম্য তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। যা জাতির নাভিশ্বাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন হলেও এর শিকড় রয়ে গেছে। এর উৎপাটন না করা পর্যন্ত আন্দোলনের সুফল ঘরে তোলা সম্ভব হবেনা। এজন্য দেশের সকল স্তরের লোকজনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে পারব। এক্ষেত্রে সংবাদকর্মীদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তারাই পারবে কলমকে শানিত করে মুক্ত লেখনির মাধ্যমে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে পরাজিত শক্তির অপপ্রচার রোধ করে জাতিকে আশ্বস্ত করতে।
তিনি বলেন, আসুন ছাত্র শিক্ষক জনতা সাংবাদিক পেশাজীবী, শ্রমিক এক কাতারে এসে নতুন বাংলাদেশ গড়ায় অগ্রণী হই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগী হয়ে বাংলাদেশ তথা আমাদের প্রাণের শহর সৈয়দপুরকে শান্তি ও সমৃদ্ধির মডেল হিসেবে উপস্থাপন করি। আমরা সকলে সৈয়দপুরীয়ান হয়ে দল মত ভুলে অতীতের বৈষম্যমুলক মানসিকতা ঝেড়ে ফেলে সকলে মিলে প্রত্যয়ী হই। তাহলে সুফল আসবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা