২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পুলিশের গুলিতে নিহত সুমনের পরিবার শোকে স্তব্ধ

- ছবি : নয়া দিগন্ত

পরিবারের সদস্যদের মুখে একটু হাসি ও স্বচ্ছলতার জন্য আশুলিয়ায় কাজের সন্ধ্যানে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দালনকারীদের কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে নিহত সুমন পাটোয়ারীর (২০) বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সন্তানকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ মা-বাবাসহ স্বজনেরা।

নিহত সুমন উপজেলার ৬ নম্বর অমরপুর ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণপাড়ার মো: ওমর ফারুকের ছেলে।

জানা গেছে, পারিবারিক অভাব ও দারিদ্রতার কারণে সুমন চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। এরপর স্থানীয় মাদরাসায় পড়াশোনা করে কোরআনের হাফেজ হন। সেইসাথে স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করতেন। এতে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসারের খরচ নির্বাহ করা দুষ্কর হয়ে পাড়ে। তাই সংসারের স্বচ্ছলতা এবং মা-বাবার মুখে হাসি ফোটাতে বাধ্য হয়ে ছুটে যান ঢাকার আশুলিয়ায়। সেখানে সুমন একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট বিকেল ৩টায় সুমন কয়েকজন বন্ধু মিলে বাহিরে বের হন। ওই দিনই বিকেল ৪টার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দালনকারীদের কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি ছুঁড়লে সেখান থেকে সুমনের অন্য বন্ধুরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু সুমন পালাতে পারেনি। পুলিশের ছোঁড়া গুলি সুমনের মাথায় লেগে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। গত ৬ আগস্ট সকাল ১১টায় চিরিরবন্দর উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের শান্তিরবাজারের লক্ষিপুর গ্রামের বাড়িতে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন মা-বাবা।

সুমনের বাবা মো: ওমর ফারুক কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, ‘আমাদের ছেলে পরিবারের একটু সুখের আশায় আশুলিয়ায় কাজের সন্ধানে যায়। কিন্তু সেই সুখ আর আমাদের কপালে সইলো না। সে আমাদের মাঝে অক্ষত অবস্থায় বাড়িতে ফিরে আসল না। এলো তার লাশ।’

এ দিকে, উপজেলার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র সমন্বয়কেরা উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে শহীদ সুমন মিনি স্টেডিয়াম রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement