২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সৈয়দপুরে জামায়াতের শোকরানা মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

সৈয়দপুরে জামায়াতের শোকরানা মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ - ছবি : নয়া দিগন্ত

স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়ে কেন্দ্র ঘোষিত শোকরানা মিছিল করেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা ও শহর জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।

সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর ২টায় শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে মিছিল বের করে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিলে একীভূত হয়ে পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে।

এর আগে প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলাম, শহর আমির শরফুদ্দীন খান ও সেক্রেটারি মাওলানা ওয়াজেদ আলী, ইসলামী ছাত্রশিবির জেলা সভাপতি শিমুল প্রমুখ।

বক্তারা এই বিজয়দানে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ছাত্র জনতা ও আপামর দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান। বাকশালি স্বৈরাচার বিদায়ের এই লড়াইয়ে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও পরিবারসমুহের প্রতি সমবেদনাও জানানো হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ জন্মগতভাবে একটি প্রতারক ও অকৃতজ্ঞদের দল। এই দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা চরম স্বার্থপর ও বেঈমান। তাই তাদের প্রয়োজনে জামায়াতে ইসলামীকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করলেও পরবর্তীতে ক্ষমতায় গিয়ে নেমকহারামী করে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে।

ইতোপূর্বেও শেখ মুজিবুর রহমানও সকল দল নিষিদ্ধ করে দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। এরা বিরোধী দল ও মতকে নির্মূল করতে নৃশংস নির্যাতন চালিয়ে দেশে কর্তৃত্ববাদী অপশাসন শুরু করে। সবক্ষেত্রে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে সন্ত্রাসী কায়দায় জুলুম চালিয়েছে।

প্রশাসনসহ রাষ্ট্রের সকল স্তরে দলীয়করণ করে বৈষম্যমুলক নীতি কার্যকর করার মাধ্যমে সেবাদাস ও দলকানা গোষ্ঠীকে নিয়ে একক রাজত্ব স্থায়ী করে অকল্পনীয় ও অবর্ণনীয় দুর্নীতি করেছে। আবার উন্নয়নের নামে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের আড়ালে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করে দেশকে অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্বের দারপ্রান্তে এনেছে।

দেশের সিংহভাগ জনগণকে ঠকিয়ে বিদেশে সহায় সম্পদের পাহাড় গড়ে মুল্যস্ফিতির গ্যাড়াকলে ফেলে ভাতে মারার উপক্রম করেছে। যার বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে যুদ্ধাপরাধীর মিথ্যে অপবাদ দিয়ে নেতৃবৃন্দকে জুডিশিয়াল কিলিং তথা আদালতের দোহাই দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে হত্যা করেছে।

এরা ভারতের দালালী করে দেশকে নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। যা আজ দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে পড়ায় দেশপ্রেমিক ছাত্ররা রুখে দাঁড়িয়েছে। এই আহ্বান দীর্ঘ ২০ বছর আগেই জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকে জানিয়ে আসছে। সেই আহ্বানের প্রেক্ষিতে এবার এই সম্মিলিত অভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

শেষে বক্তারা বলেন, আজ শুধু শেখ হাসিনা পালিয়েছে। এখনো তার সেবাদাস রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানসহ বিভিন্ন সেক্টরে লোক বিদ্যমান। তাদের অপসারণ করে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে একটি সরকার গঠন করেই এই আন্দোলন চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করবে। তাই সামনে আরো সজাগ থাকার আহ্বান জানান। একইসাথে সকল রাজনৈতিক বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।

পরে রেলওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে স্মৃতি অম্লান চত্বর ও প্রেসক্লাব এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
সিলেট সীমান্তে ৬৩ লাখ টাকার চোরাই পণ্যসহ আটক ২ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নিয়োগ করা হবে অবসরপ্রাপ্তদের : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ মৃত্যু : ভাংচুর পুরান ঢাকার ২ কলেজে পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের লেনদেন স্থগিত সাগর থেকে টুনা মাছ আহরণে সহযোগিতা দেবে মালদ্বীপ সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কেন আলোচনায় ২৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার বান্দরবানের গহীন জঙ্গলে কেএনএ’র গোপন আস্তানার সন্ধান হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত গাজীপুরে আরো এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান রাজশাহীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে আইসিইউ ইউনিট উদ্বোধন

সকল