গাইবান্ধায় শিক্ষক শিক্ষার্থী অবিভাবক ও পেশাজীবীর সংহতি বিক্ষোভ সমাবেশ
- গাইবান্ধা প্রতিনিধি
- ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১৬:৪৮
কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে সারা দেশে নির্বিচার হত্যা, ছাত্র-শিক্ষকদের গ্রেফতার, হয়রানি ও নিপীড়নের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অবিভাবক ও পেশাজীবী সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাইবান্ধা শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে নিপীড়নবিরোধী নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বিভিন্ন ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শিক্ষার্থী হত্যার বিচার ও সন্তানদের নিরাপত্তা দাবি করে তারা।
অবিভাবক মোছা: সোমা বেগম তার দুই সন্তানকে নিয়ে সমাবেশে এসেছেন। বড় মেয়ে গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছোট মেয়ে অন্বেষা সিদ্দিকা প্রসুন আড়াই বছর বয়স। তাকে কোলে করে নিয়ে সমাবেশে সংহতি জানাতে এসেছেন।
তিনি বলেন, আমার দুই সন্তানকে নিয়ে এসেছি। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। সেজন্য যুদ্ধে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। মানুষ তার অধিকার কিভাবে আদায় করতে হয়, তাই দুই সন্তানকে দেখাতে নিয়ে এসেছি, কিভাবে আন্দোলন করে মানুষের অধিকার আদায় করতে হয়। ওরা জানুক। ২০২৪ সালের আন্দোলনের ঐতিহাসিক স্বাক্ষী হিসেবে আমারা স্বপরিবার এসেছি।
অবিভাবক সাবেক বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, ছাত্রদের নয় দফা দাবি এখন এক দফায় রূপ নিয়েছে। কোটা আন্দোলনের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনার পরিবেশ সৃষ্টিসহ ছাত্রদের গ্রেফতার, হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো: আফজল সিরাজ বলেন, আমি একজন শিক্ষার্থী হয়ে কোটা আন্দোলনে নিহতদের বিচার আদায় না করে কিভাবে পড়ার টেবিলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যাব। নিহত শিক্ষার্থী ভাই-বোনদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউই ঘরে ফিরে যাব না।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে অন্যদের মধ্য বক্তব্য দেন, অধ্যক্ষ মাজাহার-উল মান্নান, অ্যাডভোকেট নওশাদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট অধ্যাপক রোকেয়া খাতুন, মোস্তফিজুর রহমার মুকুল, অ্যাডভোকেট মুরাদজ্জামান রব্বানী, অ্যাডভোকেট ফারুক কবির, জাকিরুল আলম, গোলাম রব্বানী, জাহাঙ্গীর কবির তনু, গোলাম রব্বানী মুসা, শিক্ষাথী মোছা: মৃত্তিকা ও স্বস্তিসহ অনেকেই।
বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের ওপর গুলি করা বন্ধ করতে হবে। গণহারে গ্রেফতার করে পুলিশের বানিজ্য ও হয়রানি থেকে বিরত থাকতে হবে। ছাত্রজনতার সকল দাবি মেনে নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করলেই সকল সমস্যা সমাবেশ হবে বলে দাবি করেন তারা। দাবি মেনে না নিলে দেশের জনগণ একসাথে নামলে তখন পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। তাই যত দ্রুত পদত্যাগ করলেই দেশ ও জাতি রক্ষা পাবে।
সমাবেশে শেষে একটি বিক্ষেভ মিছিল বের করে শহর প্রদিক্ষণ করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা