রাতে আদালত বসিয়ে ৮ শিক্ষার্থীর জামিন

রংপুরে রাতে আদালত বসিয়ে আবু সাঈদ হত্যা, ভ্যানচালক মানিক হত্যা, তাজহাট থানা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ এবং জেলা পুলিশ লাইন ও ট্রাফিক অফিসে হামলা চেষ্টার মামলায় কারাগারে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ আট শিক্ষার্থীর জামিনে মুক্তি পেয়েছে।

শুক্রবার রাত সোয়া ১১টায় রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা। এর আগে, রাত ৯টায় রংপুর মেট্রোপলিটন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আহসানুল হক রানা তাদের জামিনের আদেশ দেন।

এর আগে, আদালতের কোর্ট পরিদর্শক পৃথিশ রায় অভিভাবকদের মোবাইল করে আদালতে নিয়ে আসেন। সরকারের বিশেষ আদেশ প্রতিপালনে লিগ্যাল এইড বাংলাদেশ ব্লাস্ট রংপুর শাখার প্যানেল আইনজীবী শামিম-আল মামুন তাদের জামিন শুনানি করেন।

মুক্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, এইচএসসি পরীক্ষার্থী রংপুর সরকারি কলেজের তৌফিক ওমর ধ্রুব, জাফরগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আমির হামজা, শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের, মো: মহিন, পাভেল মিয়া, আল মারজান, নিয়াজ আহমেদ রকি, সৌরভ মিয়া।

পুলিশ তাদেরকে ১৯ ও ২০ বছর বয়স দেখিয়ে আবু সাঈদ হত্যা মামলা, অটোচালক মানিক হত্যা ও তাজহাট থানায় আগুন ও ভাঙচুরের মামলা এবং জেলা ট্রাফিক ও পুলিশ লাইনে হামলা, ভাঙচুরে গ্রেফতার দেখানো হয়। ১৯ জুলাই থেকে ২২ জুলাই এর মধ্যে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

অভিভাবকরা জানিয়েছেন, ‘জামিন দেয়া হলেও অব্যাহতি পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে তাদের।’

জামিনকারী আইনজীবি ব্লাস্টের প্যানেল অ্যাডভোকেট শামীম আল মামুন জানান, ‘সরকারি উদ্যোগে সরকারি লিগ্যাল এইডের সহযোগিতায় শুক্রবার রাতে বিশেষ আদালতে আট শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর হয়েছে। তাদেরকে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা ও শিক্ষার্থী বিবেচনায় জামিন প্রদান করেছেন।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী জোবায়দুল ইসলাম বুলেট জানান, ‘আসামি পক্ষের আইনজীবীর দাবি এভাবে কারাগারে পাঠানো বেআইনি হয়েছে। জামিন হলেও অব্যাহতি পাওয়া নিয়েও শঙ্কা আছে। আছে কারণ পুলিশই মামলা দিয়েছে। তারাই তদন্ত করছে। এদের অব্যাহতি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।’

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রতিকিউশন) সুব্রত ব্যানার্জী জানান, ‘বিশেষ আদেশে আমরা শিক্ষার্থীদের বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছি। আদালত রাতেই কোর্ট বসিয়ে তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন এবং তাদেরকে রাতেই কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, ‘মামলা তদন্তে যদি তারা নির্দোষ প্রমাণিত হন, তারা অব্যাহতি পাবেন, এটা তদন্তের বিষয়, এখনই বলা যাচ্ছে না।’