০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
পরিবারের একজনকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি

নিহত সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিলো বেরোবি কর্তৃপক্ষ

- ছবি : নয়া দিগন্ত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় পরিবারের একজনকে চাকরি দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেয় প্রশাসন।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়টির জনসংযোগ ও প্রকাশণা দফতরের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, নিহত আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এটি প্রতিনিধি দল সাড়ে সাত লাখ টাকার চেক তুলে দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ, কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম।

এ ব্যপারে প্রক্টর শরিফুল ইসলাম জানান, ভিসি ড. হাসিবুর রশিদের নির্দেশে সাঈদের মা-বাবার হাতে আমরা এই আর্থিক সহায়তা তুলে দেই। সাঈদের মা-বাবার সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখছে বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন। ভিসি স্যার নিজেও সাঈদের পরিবারের খোঁজ রাখছেন, পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়াও পরিবারের একজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মন্ডল জানান, সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় পুরো বিশ্ববিদ্যালয় গভীরভাবে দুঃখিত। আমরা সাঈদের মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাঈদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে না। কিন্তু তাদের পাশে সব সময় থাকবে। শিক্ষকরা থাকবেন।

আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে আরেকদিন আমাদের সাথে দেখা করতে আসে। ওই সময় ভিসি আমার সাথে মোবাইলে কথা বলেন। আমাদের খোঁজ খবর নেন। আমাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। আমি স্যারকে বলেছিলাম আমাদের পরিবারের একজনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেয়া হয়। ভিসি স্যার আশ্বস্ত করেছেন। সন্তানকে তো আর ফিরে পাবো না। আমাদের পরিবারের একজনকে একটা চাকরি দিলে আমরা হয়তো একটু ভালোভাবে চলতে পারব শেষ সময়ে।’

সাঈদের বাবা জানান, ‘আবু সাঈদকে পড়ালেখার টাকা দিতে পারতাম না। তার প্রাইভেট পড়ানোর (টিউশনের) জমানো টাকায় চলতাম আমরা। অথচ সেই সন্তান নেই। বাবা হয়ে সন্তানের কফিন কাঁধে নেয়ার ভাষা আমার নেই। আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন, দেশের মানুষের জন্য সে জীবন দিয়েছে। আল্লাহ যেন তাকে মাফ করে দেয়।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার তখন দুপুর পৌনে ২টা। পুলিশ কোটা আন্দোলনকালীদের ছত্রভঙ্গ করতে ছুড়ছে গুলি, টিয়ারশেল। আর ছাত্রলীগ হেলমেট পড়ে মুখে গামছা বেধে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ধাওয়া দিচ্ছে। এমন মুহূর্তেই রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে দাড়িয়ে আন্দোলনকারীদের নেতা আবু সাঈদ পুলিশ এবং ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্যে করে বলে আপনারা আমার ভাই-বোনের ওপর আর গুলি ছুড়বেন না। ওদের মারবেন না। এরপর দুই হাতে তুলে বলে আপনারা আমাকে গুলি করেন, তবুও ওদেরকে গুলি করবেন না। সাথে সাথে ১ নম্বর গেট থেকে পুলিশ তার বুক বরাবর কয়েক রাউন্ড রাবারবুলেট ছোড়ে। তারপরও কিছুটা সময় দাড়িয়ে থাকে সাঈদ। পরে সামান্য দূরে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সাঈদ। শিক্ষার্থীরা তোকে দ্রুত রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবু সাঈদ মারা যান।


আরো সংবাদ



premium cement
এ সরকার জনপ্রত্যাশার কী করবে? আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন : তাজুল ইসলাম চিফ প্রসিকিউটর আবুধাবির কারাগার থেকে দেশে ফিরেছেন ১৪ বীর কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্রকে গুলি করে হত্যা : কনস্টেবল গ্রেফতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তগুলো যৌক্তিক : ফখরুল ‘একটি চক্র জামায়াত আমিরের বক্তব্য নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে’ অস্ত্র জমা দেয়নি শামীম ওসমান ও গাজী পরিবার এবি পার্টির উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক কর্মকর্তাদের তালিকা চাওয়া নিয়ে বিতর্কে মন্ত্রণালয়ের দুঃখ প্রকাশ আশুলিয়ায় শ্রমিক দলের সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫ রূপগঞ্জে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা

সকল