ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা বিরোধী মিছিলে পুলিশের গুলি, আহত অর্ধশত
- ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
- ১৮ জুলাই ২০২৪, ১৯:২৩
বিক্ষোভ মিছিল, সড়কে অবস্থান, কোটা বিরোধী স্লোগান, রাস্তায় আগুন, পুলিশের লাঠি চার্জ, টিয়ারশেল ও ছোঁড়ড়া গুলিতে উত্তাল অবস্থা বিরাজ করছে ঠাকুরগাঁওয়ে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে (বড়মাঠ) সমবেত হয়। সেখান থেকে মাইক ব্যনারসহ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক হয়ে শহরের চৌরাস্তায় গিয়ে অবস্থান নেয়।
সেখানে কোটা বিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকে এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে। এ সময় অশ্রুসিক্তচোখে জাতীয় পতাকা হাতে অংশ নিয়ে কর্মসূচিতে একাত্বতা ঘোষণা করেন এক মা।
একইসাথে একাত্বতা ঘোষণা করেন অন্য অবিভাবকরাও। পরে শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের স্লোগান ও রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত শিক্ষার্থী আবু সাইদসহ যেসব শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। তাদের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও বিজিবি সদস্য তাদের ঘিরে রাখে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সদর ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তাগণ।
দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও দুপুরের পর থেকে তা গড়ায় সহিংসতায়।
চৌরাস্তা ত্যাগ করে এবং শহরের পুরাতন বাসস্টান্ড এলাকায় অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীরা আবারো স্লোগান দিয়ে রুপসী বাংলা পেট্রোল পাম্পের সামনে পৌঁছালে সেখানে পুলিশি বাঁধায় পড়ে তারা। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়লে পুলিশ টিয়ারশেল রাবার বুলেট ও ছোরড়া গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধসহ সব মিলিয়ে আহত হয় অর্ধশত শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় সারোয়ার আলম নামের এক মাদরাসা শিক্ষার্থী। সারোয়ার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার হরিহরপুর সিনিয়র আলিম মাদরাসার এইচএসসি দ্বিতীয় বর্সের ছাত্র এবং সে হরিহরপুর এলাকার আবদুল্লাহ আল মামুন আলমের ছেলে বলে তথ্য পাওয়া যায়।
আহতদের দ্রুত ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে শিক্ষার্থীরা আবারো রাস্তায় নামে এবং বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাস স্ট্যান্ড এলাকার পুলিশ বক্স ভাঙচুর ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে এবং রাস্তার মাঝের ডিভাইডারের র্যালিং ভেঙে ফেলে রাস্তায় অগ্নিসংযোগ করে। এতে ঠাকুরগাঁও ঢাকা মহাসড়ক সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। বিকেলের পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা