০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
দিনাজপুরে প্রতিকী কফিন নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

হাবিপ্রবিতে সাধারণ শিক্ষার্থী-ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ২০

-

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলায় সারাদেশে ছয় সাধারণ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে প্রতীকি কফিন নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে হাবিপ্রবিসহ দিনাজপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

দিনাজপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। এ সময় কলেজের ছাত্রলীগের টেন্টসহ বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া একই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

এর আগে ১৬ জুলাই সন্ধ্যার পূর্বে কোটা সংস্কারের দাবীতে দিনাজপুর হাবিপ্রবির সম্মুখ সড়কে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাংলা ব্লকেটে হামলা চালায় হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ। এতে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত ২০ জন আহত হয়।

এদিকে হাবিপ্রবির জরুরী সিন্ডিকেট মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিকেল ৩টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার জন্যও নির্দেশ প্রদান করা হয়।

১৭ জুলাই দুপুরে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে প্রতিকী কফিন নিয়ে মিছিল বের করে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। একই সময়ে দিনাজপুর সরকারি কলেজের সামনে কলেজ মোড় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সকালে শহরের স্টেশন চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দিনাজপুর জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল ও সমাবেশে কোটা সংস্কার, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়া হয়।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিক থেকেই হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে সমবেত হতে থাকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সময়ে হাবিপ্রবির প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় কোটা সংস্কারের পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে হাবিপ্রবির সামনের সড়কে মিছিল বের করে। পরে তারা সেখানে বসে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পাল্টা-পাল্টি বিভিন্ন স্লোগানের পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাস্তা ছেড়ে দিতে বলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা একে অপরের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। সন্ধ্যার পর পর্যন্ত চলমান ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।

এ বিষয়ে দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল-মামুন বলেন, উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement