২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সবুজের বাড়িতে

- ছবি : নয়া দিগন্ত

কোটাবিরোধী আন্দোলনের সহিংসতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সবুজ আলীর গ্রামের বাড়ী নীলফামারীতে চলছে শোকের মাতন। ছেলের মৃত্যুর সংবাদে বার বার সংজ্ঞা হারাচ্ছেন মা সূর্য বানু। মেধাবী এই শিক্ষার্থীর মৃত্যু কোনোভাবে মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসীও।

মঙ্গলবার বিকেল আহত হন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী সবুজ আলী।

স্থানীয়রা বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তাকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। অজ্ঞাত পরিচয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। রাতে সিআইডি ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় সনাক্ত করেন। এরপর খবর দেয়া হয় ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সবুজের স্বজনদের।

নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের আরাজি দোলুয়া ভাটিয়া পাড়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক বাদশা মিয়ার ছেলে সবুজ। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয় সবুজ। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী সবুজ আলী।
দারিদ্রতার কারণে অন্য ভাই বোনরা লেখাপড়া করতে না পারলেই নিজের চেষ্টা ও প্রবল মনোবলের কারণে দারিদ্রতা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। সবুজ আলী স্থানীয় আরাজি দোলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। খারিজা সোনাহার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি পাশ করেন। এরপর পাশ্ববর্তী দেবিগজ্ঞ সরকারি কলেজ থেকে কৃতিতের সাথে এইচএসসি পাশ করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। সবুজ ঢাকা কলেজের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। সে উত্তর ছাত্রাবাসের ২০৫ নম্বর কক্ষে থাকতেন। সে ঢাকায় বিভিন্ন কাজ করে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালাতেন।

বসত ভিটা ছাড়া আর কিছু নেই সবুজের পরিবারের। তিন ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই মানসিক ভারসাম্যহীন। পিতা বাদশা মিয়া বর্তমানে ঢাকায় ভ্যান চালান। সবুজের লাশ এখনও বাড়ীতে আসেনি। স্বজনরা জানায় আজ রাতে লাশ আসার কথা। লাশ না দেখলেও সবুজের মৃত্যুর খবর শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা।

সবুজের মা সূর্য বানু জানান তার স্বামীর একার আয়ে সংসার না চলায় আমিও অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করি। অনেক কষ্ট করে এতোদিন ছেলের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছেন। স্বপ্ন ছিল একদিন ছেলে সরকারি চাকরি করে আমাদের দুঃখ দুর করবে। কিন্তু ছেলের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমি এর বিচার চাই।

প্রতিবেশী আয়নাল, মমেনা, সফিয়া জানান, সবুজ অত্যন্ত নম্র,ভদ্র ও মেধাবী ছিল। খেয়ে না খেয়ে মানুষের কাছে সাহায্য নিয়ে অনেক কষ্ট করে ছেলেকে পড়ালেখা করাছিল তার পিতা-মাতা।


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত : প্রেস উইং সালাহর জোড়া গোলে জিতল লিভারপুল ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা মেনে নেয়ার আহবান হাসিনা-কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

সকল