১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সবুজের বাড়িতে

- ছবি : নয়া দিগন্ত

কোটাবিরোধী আন্দোলনের সহিংসতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সবুজ আলীর গ্রামের বাড়ী নীলফামারীতে চলছে শোকের মাতন। ছেলের মৃত্যুর সংবাদে বার বার সংজ্ঞা হারাচ্ছেন মা সূর্য বানু। মেধাবী এই শিক্ষার্থীর মৃত্যু কোনোভাবে মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসীও।

মঙ্গলবার বিকেল আহত হন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী সবুজ আলী।

স্থানীয়রা বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তাকে ঢাকা কলেজের সামনে থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। অজ্ঞাত পরিচয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। রাতে সিআইডি ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় সনাক্ত করেন। এরপর খবর দেয়া হয় ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সবুজের স্বজনদের।

নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের আরাজি দোলুয়া ভাটিয়া পাড়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক বাদশা মিয়ার ছেলে সবুজ। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয় সবুজ। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী সবুজ আলী।
দারিদ্রতার কারণে অন্য ভাই বোনরা লেখাপড়া করতে না পারলেই নিজের চেষ্টা ও প্রবল মনোবলের কারণে দারিদ্রতা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। সবুজ আলী স্থানীয় আরাজি দোলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। খারিজা সোনাহার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি পাশ করেন। এরপর পাশ্ববর্তী দেবিগজ্ঞ সরকারি কলেজ থেকে কৃতিতের সাথে এইচএসসি পাশ করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। সবুজ ঢাকা কলেজের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। সে উত্তর ছাত্রাবাসের ২০৫ নম্বর কক্ষে থাকতেন। সে ঢাকায় বিভিন্ন কাজ করে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালাতেন।

বসত ভিটা ছাড়া আর কিছু নেই সবুজের পরিবারের। তিন ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই মানসিক ভারসাম্যহীন। পিতা বাদশা মিয়া বর্তমানে ঢাকায় ভ্যান চালান। সবুজের লাশ এখনও বাড়ীতে আসেনি। স্বজনরা জানায় আজ রাতে লাশ আসার কথা। লাশ না দেখলেও সবুজের মৃত্যুর খবর শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা।

সবুজের মা সূর্য বানু জানান তার স্বামীর একার আয়ে সংসার না চলায় আমিও অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করি। অনেক কষ্ট করে এতোদিন ছেলের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছেন। স্বপ্ন ছিল একদিন ছেলে সরকারি চাকরি করে আমাদের দুঃখ দুর করবে। কিন্তু ছেলের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমি এর বিচার চাই।

প্রতিবেশী আয়নাল, মমেনা, সফিয়া জানান, সবুজ অত্যন্ত নম্র,ভদ্র ও মেধাবী ছিল। খেয়ে না খেয়ে মানুষের কাছে সাহায্য নিয়ে অনেক কষ্ট করে ছেলেকে পড়ালেখা করাছিল তার পিতা-মাতা।


আরো সংবাদ



premium cement
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেফতার সোনারগাঁয়ে শেখ হাসিনা-শেখ রেহেনাসহ ২৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা গাজার চলমান ঘটনাবলী সমসাময়িক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভুল : বসনিয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থেকে ভারতের আসাম-মেঘালয় সীমান্তে আটক ৬৫ বাংলাদেশী ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল মুসলিম উম্মাহ'র মর্যাদা প্রতিষ্ঠা সম্ভব : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হোসেনপুরে স্কুলশিক্ষকের বসতঘর পুড়ে ছাই রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টির আভাস 'শ্রম আইন সংস্কার করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে' সিংগাইরে ধলেশ্বরী নদী থেকে লাশ উদ্ধার সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মৎস্যচাষির মৃত্যু সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবুর ওপর ডিম নিক্ষেপ

সকল