২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

তিস্তা অববাহিকার ১১০ পয়েন্টে নজীরবিহীন গণঅবস্থান

- ছবি : নয়া দিগন্ত

তিস্তা কর্তৃপক্ষ গঠন করে চলতি অর্থবছরেই পদ্মা সেতুর মতো তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তার দুই তীরে গণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত একযোগে অববাহিকার ১১০টি পয়েন্টে এই গণ অবস্থানে হাজার হাজার ভুক্তভোগী অংশ নেন।

এরমধ্যে রংপুরের পীরগাছার ছাওলা ইউনিয়নের বোল্ডারের মাথা পয়েন্টে পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী, গঙ্গাচড়ার কোলকোন্দ ইউনিয়নের মিনা বাজার পয়েন্টে সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, নোহালীর কচুয়াতে কেন্দ্রীয় সদস্য আনিছুল হক চৌধুরী, আলমবিদিতরের বড়াইবাড়িতে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য আব্দুর নুর দুলাল, লক্ষিটারী ইউনিয়নের মহিপুর পয়েন্টে কেন্দ্রীয় সদস্য আশরাফুল ইসলাম, কাউনিয়া রেলসেতু পয়েন্টে কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তাফিজার রহমান, বিশ্বনাথ হয়বত খা পয়েন্টে কেন্দ্রীয় নেতা আশিকুর রহমান আশিক, কুড়িগ্রামের রাজারহাটের সরিষাবাড়ি পয়েন্টে পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য বখতিয়ার হোসেন শিশির, বিদ্যানন্দ পয়েন্টে কেন্দ্রীয় সদস্য মোশাররফ হোসেন, বুড়িরহাট পয়েন্টে কেন্দ্রীয় সদস্য জাহেদুল ইসলাম, উলিপুরের থেতরাই পয়েন্টে স্টান্ডিং কমিটির সদস্য মশিউর রহমান, বজরা পয়েন্টে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রেজাউল ইসলাম রেজা মাস্টার, নীলফামারীর ডিমলার তিস্তার প্রবেশ মুখ কালিগঞ্জ পয়েন্টে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য গোলাম মোস্তফা ও হাফিজার রহমান, কেল্লাপাড়া পয়েন্টে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহবুবার রহমান বাবলু ও বনমালি রায়, জলঢাকার জয়বাংলা বাজার পয়েন্টে কেন্দ্রীয় সদস্য মশিনুর রহমান মিথুন, বানপাড়া পয়েন্টে কেন্দ্রীয় সদস্য জবা নুর রহমান, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধার ডাউয়াবাড়ি সোহাগের হাট পয়েন্টে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য মাইদুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম শফু, সিন্দুরনা পয়েন্টে কেন্দ্রীয় সদস্য বজলার রহমান বজু, পারুলিয়া পয়েন্টে স্ট্যান্টিং কমিটির সদস্য আব্দুল হাকিম, ঘুমটি বাজার পয়েন্টে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সাদেকুল ইসলাম ও মোশাররফ হোসেন, কালিগঞ্জের ভোটমারি পয়েন্টে কেন্দ্রীয় সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক, চিলাখাল পয়েন্টে কেন্দ্রীয় সদস্য নজরুল ইসলাম মোল্লা, মটুকপুর পয়েন্টে কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল হামিদ, আদিতমারীর মহিষখোচা পয়েন্টে কেন্দ্রীয় সদস্য ইঞ্জিনিয়ার দেলওয়ার হোসেন ও দীলিপ কুমার রায়, রাজপুর পয়েন্টে কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট মধুসুদন রায় মধু, গাইবান্ধার হরিপুরে কেন্দ্রীয় সদস্য সাজেদুল ইসলাম সাজু মুনশি উপস্থিত থেকে গণ অবস্থানে নেতৃত্ব দেন।

পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান জানান, প্রতি বছর তিস্তা পাড়ে ১ লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। ২০ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে। জীবন-জীবিকা বিপন্ন। কৃষি-কৃষক লন্ডভন্ড। আমরা কোনো ভূ রাজনৈতিক দ্বৈরথ চাই না। আমরা চাই চীনের সমীক্ষা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত তিস্তা মহাপ্রকল্পের কাজ চলতি অর্থ বছর থেকেই শুরু করা হোক। আমরা আশাকরি চীন ফেরত সংবাদ সম্মেলনেই প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দিবেন।

পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, দেশের অন্য অংশে ৪ লাখ কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। কিন্তু উত্তরাঞ্চলে কোনো মেগা প্রকল্প নেই। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে তিস্তা কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করবেন। এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর মতো নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহা প্রকল্পের কাজ শুরুর ঘোষণা দেবেন। এই দাবি এই অঞ্চলের ২ কোটি মানুষের জীবন জীবকা বাঁচানোর প্রকল্প। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই প্রকল্পের কাজ শুর করতে হবে। তা করা না হলে রাজপথ, নৌপথ রেলপথ অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনে যাবো আমরা।

গণ অবস্থানে বক্তবের পাশাপাশি ছিল গণসঙ্গীত, কবিতা-নাটকসহ বিভিন্নভাবে তিস্তায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবনের চিত্র তুলে ধরা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement