২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দীর্ঘ হচ্ছে কুড়িগ্রামের বন্যার দুর্ভোগ

দীর্ঘ হচ্ছে কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি - নয়া দিগন্ত

কুড়িগ্রামের ১৬টি নদ নদীর পানি গত দুদিন ধরে কিছুটা কমে আবারো বাড়তে শুরু করেছে। ফলে জেলার ৯ উপজেলার ৫৫ ইউনিয়নের প্রায় দু'লাখ পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি আর গবাদিপশুর খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ কার্যক্রম চলমান থাকলে গোখাদ্য সঙ্কট নিয়ে দুঃশ্চিন্তা আছে বানভাসীরা ।

গত ১০ দিন ধরে জেলার ৯ উপজেলার দু'লাখ পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। রাস্তাঘাট তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কয়েক দিনের বন্যায় নাগেশ্বরী উপজেলার দুটি বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। চর দ্বীপ চর ও নিম্নাঞ্চলের মানুষের ঘরে চাল ডাল থাকার পরেও রান্না করে খেতে পারছেন না। ফলে খেয়ে না খেয়ে কোনোরকম বেঁচে আছেন এই বানভাসি মানুষগুলো। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পরিবারের লোকজন উঁচু স্থানে অবস্থান করছে। উপায় না পেয়ে অনেককে নৌকার ভেতর রাত কাটাতে হচ্ছে। এমন দুর্ভোগে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সহযোগিতার আশা করছেন বানভাসিরা।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের রলাকাটা গ্রামের মোঃ আজগার আলী বলেন, টানা ১০ দিন ধরে ঘরে বাইরে পানি। মাচার উপর ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। কাজ কামাই নাই, খাওয়ার কষ্ট, থাকার কষ্ট। কী করি, কোথায় যাই।

আরেক বাসিন্দা মোঃ নুর মামুন বলেন, 'পানি কমে আবার বাড়তেছে।মানুষের দুর্ভোগের মতো গরু ছাগল নিয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। পানিতে কতক্ষণ গরু দাঁড়িয়ে থাকে? দূরে কোনো জায়গায় রেখে আসবো সে ভরসা পাই না। কখন যে চুরি হয়ে যায়?'

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার বলেন, জেলার বন্যা কবলিতদের জন্য বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৫৪২ টন চাল, ৩২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ২৩ হাজার ১২০ প্যাকেট শুকনা খাবার ৯ উপজেলায় বিতরণ চলমান রয়েছে। গোখাদ্যের কোনো বরাদ্দ নেই।


আরো সংবাদ



premium cement