২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি : নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

- ছবি - নয়া দিগন্ত

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে সামান্য কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যায় প্লাবিত হয়েছে নয় উপজেলার ৪৯ ইউনিয়নের চার শতাধিক গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ। পানিবন্দী পরিবারগুলো আট দিন ধরে গবাদি পশু-পাখিসহ পাকা সড়ক ও উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। বন্যার পানিতে তাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে আছে। কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা ও কলা গাছের ভেলাই বানভাসিদের একমাত্র ভরসা।

এ দিকে, বন্যাকবলিত হওয়ায় জেলায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক পর্যায়ের তিন শতাধিক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ বানভাসিদের ঘরের মজুদ খাবার ফুরিয়ে যাওয়ায় খাদ্য সঙ্কটে পড়েছে। অনেক পরিবার খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৩৮৭ টন চাল, নগদ ২২ লাখ টাকা ও ১৮ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হলেও অনেকের ভাগ্যে জোটেনি এই ত্রাণ সহায়তা।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বিভাগ জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার, হাতিয়া পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার, সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ৩২ সেন্টিমিটার এবং শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement