সৈয়দপুরে ১১০ টন নিষিদ্ধ কীটনাশক জব্দ
- মো: জাকির হোসেন, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
- ২৫ জুন ২০২৪, ২৩:২০, আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ১৩:১৩
নীলফামারীর সৈয়দপুরে গোডাউন থেকে সরিয়ে নেয়ার সময় ১১০ টন নিষিদ্ধঘোষিত কীটনাশক ফেরোটন জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে সৈয়দপুর বিসিক শিল্প নগরীতে যৌথ অভিযানে এসব আটক করে প্রশাসন।
অভিযোগ, প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যমানের এই অবৈধ পণ্য মজুদ করে গোপনে বাজারজাত করছিল সৈয়দপুর শহরের স্থানীয় এক ডিলার।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ধীমান চন্দ্র জানান, ‘ফেরোটন মূলত ফসলের জন্য ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ নিধনের জন্য দীর্ঘদিন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি গবেষণায় দেখা যায়, এই কীটনাশকটি জমি ও উপকারী কীটপতঙ্গের জন্যও ক্ষতিকর। তাই গত বছরের প্রথমদিকে এটি নিষিদ্ধ করে সরকার। তবে বিগত ডিসেম্বর পর্যন্ত উৎপাদিত এই কীটনাশকের মজুদ শেষ করে উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণের শেষ সময় নির্ধারণ করে দেয়। এরপর থেকে এই নিষিদ্ধ পণ্য সম্পূর্ণ অবৈধ হিসেবে বিবেচিত।’
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কৃষি বিভাগ নিশ্চিত হয় যে সৈয়দপুর বিসিক শিল্প নগরীর একটি গোডাউনে এই নিষিদ্ধ কীটনাশক মজুদ করে রেখে অধিক দামে গোপনে বিক্রি করা হচ্ছে এবং আজ গোডাউন থেকে সব মালামাল সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় র্যাব, এনএসআই, পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এতে পাচারকালে হাতেনাতে ১১০ টন ফেরোটন জব্দ করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযানে অংশ নেন র্যাব-১৩, সিপিসি-২, নীলফামারীর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মেহেদী হাসান, এএসপি আব্দুর রাজ্জাক খানসহ সঙ্গীয় ফোর্স, এনএসআই’র নীলফামারীর উপপরিচালক মশিউর রহমান, বিএডিসি নীলফামারীর উপপরিচালক শাহানা বেগম, সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম। তাদের সহযোগিতা করেন সৈয়দপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা।
জব্দ মালের মালিক বলেন, আমি কোম্পানির কাছ থেকে এই কীটনাশক যথানিয়মে নিয়েছি। জানতাম যে এটি শুধু রফতানি করা যাবে না। তাছাড়া বিক্রি করায় কোনো বাধা নেই। তাই লাভের আশায় এত মাল মজুদ করে রেখেছি। এখন মৌসুম আসায় বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ কৃষি অফিসারসহ প্রশাসন এসে এগুলো জব্দ করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা