গাইবান্ধায় তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমলেও বাড়ছে করতোয়া ও ঘাঘটের
- গাইবান্ধা প্রতিনিধি
- ২৩ জুন ২০২৪, ১১:৩১
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তার এবং ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমেছে। তবে তিস্তা পানি এখনো বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে বেড়েছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর এবং শহরের পাশের ঘাঘট নদের পানি। শনিবার বিকেল ৩টা থেকে রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে।
তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে শুরু করায় নদী-তীরবর্তী সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরের নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা-সংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে ৫২ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে সাত সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দিকে করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে পাঁচ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে চরাঞ্চলের নিচু এলাকা, আবাদি জমি ও রাস্তাঘাট দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। তবে পানি কমার সাথে সাথে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী এলাকা সদরের মোল্লারচর, সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, কাপাশিয়া, চন্ডিপুর, তারাপুর ইউনিয়ন ও ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হাফিজুল হক বলেন, ‘উজান থেকে নেমে আসা ঢলে করতোয়া ও ঘাঘটের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমেছে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।’
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাহিদ রসুল বলেন, ‘সম্ভাব্য দুর্যোগ প্রবণ চারটি উপজেলার প্রতিটিতে ৫০ ব্যাগ শুকনা খাবার, নগদ ১৫ লাখ টাকা, শিশু-খাদ্য ক্রয় বাবদ দুই লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ পাঁচ লাখ টাকা করে উপ-বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য চারটি রেসকিউ বোট ও ৩৮৪ টন চাল মজুদ রয়েছে এবং স্থায়ী-অস্থায়ী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
তিনি আরো জানান, ৫০০ টন চাল, ১০ লাখ টাকা (নগদ), পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, এক হাজার বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহনির্মাণের মঞ্জুরি বাবদ ৩০ লাখ টাকা, শিশু-খাদ্য ও গো*খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকার বরাদ্দের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা