২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঠাকুরগাঁওয়ে স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে দেবরের হামলার শিকার গৃহবধূ

ঠাকুরগাঁওয়ে স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে দেবরের হামলার শিকার গৃহবধূ - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচিত মৎস্যজীবী লীগ নেতা শাকিল হত্যা মামলায় স্ত্রী কাকলী সুষ্ঠু বিচার চেয়ে মামলায় করতে যাওয়ায় তার ওপর বর্বর হামলা, মারপিট ও হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। এমন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।

শনিবার (৮ জুন) দুপুরে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে ভুক্তভোগী কাকলীর বাবা আবুল কাশেম বিচার চেয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কাকলীর বাবা জানান, জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় হলদিবাড়ি হাটে শাকিল হত্যার আলোচিত ঘটনায় তৎকালীন সময়ে হত্যা মামলা করা হয়। এই সময় শাকিলের বিধবা স্ত্রী কাকলী আক্তারকে হত্যা মামলার বাদি হতে না দিয়ে সুকৌশলে ও তড়িঘড়ি করে শাকিলের মৃত্যুর পূর্বেই একটি মারামারির মামলা করা হয়। মামলার বাদি হন শাকিলের ভাই সাঈদ আলম। শাকিলের মৃত্যুর পরে যেটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়।

শাকিলের বিধবা স্ত্রী কাকলী ওই মামলার কিছু ভুল ও অসংগতি দেখতে পেয়ে বারবার সাঈদকে জানালেও সে কোনো কিছু আমলে না নিয়ে এ মামলার মনগড়া ও ভুল তথ্য সম্বলিত চার্জশিট করায়। পরবর্তীতে কাকলী নিজেই ওই চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি প্রদান করেন এবং প্রকৃত খুনিদের বিচার চাইতে আদালতে পৃথক মামলা করায় গত ২০ মে তারিখে তার ওপর বর্বর হামলা চালায় সাঈদ আলম ও তার সহযোগিরা।

ঘটনার সময় নিজেকে বাঁচাতে কাকলী পুলিশের সহায়তার জন্য ৯৯৯ এ কল করলে তাকে দ্বিতীয় দফায় আবারো নিষ্ঠুরভাবে মারপিট করে হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে প্রথমে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল ও পরে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এ ঘটনায় গত ৩ জুন তারিখে বালিয়াডাঙ্গী আদালতে একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী কাকলীর বাবা আবুল কাশেম।

সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তরভাগী কাকলী বলেন, আমি আমার সন্তান নিয়ে আজ ১৭ দিন ধরে বাসায় ঢুকতে পারছি না। বাসায় ঢুকতে বাধা প্রদানসহ অব্যাহতভাবে হত্যার ও গুমের হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে সাঈদ ও তার লোকজন। আমার স্বামী শাকিলকে হত্যা করেও হত্যাকারী ও তাদের সহযোগিরা ক্ষান্ত হয়নি। তারা আমাকে ও আমার সন্তানকেও মেরে ফেলতে চায়, যেনো শাকিল হত্যার প্রকৃত খুনিদের কেউ বিচার চাইতে না পারে। তাছাড়া আমার মেয়ে শিশু সন্তানটি এ ঘটনার পর থেকে স্কুলেও যেতে পারছে না। তার পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমি ও আমার সম্পূর্ণ পরিবার আতঙ্কে দিনাতিপাত করছি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
আমি আমার স্বামীর বাসায় ফিরতে এবং শাকিল হত্যার প্রকৃত আসামিদের বিচারের জন্য সাংবাদিক, পুলিশ ও প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা চাই।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল