তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভনে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ
- মো: রেজোয়ান ইসলাম, ডিমলা (নীলফামারী)
- ১৮ মে ২০২৪, ১৭:১৭
চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে মমিনুর রহমান (৩০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে ডিমলা উপজেলায় এ পৈচাশিক ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউপির মাস্টার পাড়া এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে মো: মমিনুর রহমান (৩০)।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে টেপাখড়িবাড়ী ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান পাড়া গ্রামের (বর্তমান মাস্টার পাড়া) আতাউর রহমানের ছেলে মমিনুর রহমান ওই শিশুকে চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে শয়ন কক্ষে ডেকে নেয়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে শয়ন কক্ষে জোরপূর্বক যৌন নিপীড়ন করে পালিয়ে যায় ধর্ষক। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটি বাড়িতে ফিরে গিয়ে সমস্ত ঘটনা তার মাকে বলে। মেয়ের অসুস্থতায় লোকজনের সহায়তায় ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশুটিকে প্রেরণ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা। বর্তমানে মেয়েটি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগীর বাবা জানান, আমার মেয়ে সুস্থ হলেই আইনের দ্বারস্থ হব। মমিনুরের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় লোকজন জানান, মোটা অংকের অর্থের বিনিময় রফাদফার জন্য রাতে দুই পক্ষের লোকজন বসেছিল। তাদের আলোচনা চলমান রয়েছে। ধর্ষণের উপযুক্ত বিচার এবং ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সাহিন জানান, এ বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু এখনো জানায়নি। তবে বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবাশীষ কুমার রায় জানান, লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছি। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দাখিল করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা