২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ভূরুঙ্গামারীতে চিকিৎসকের কপাল ফাটিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য

ভূরুঙ্গামারীতে চিকিৎসকের কপাল ফাটিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য - ছবি : নয়া দিগন্ত

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে রফিকুল ইসলাম রাজ্জাক নামের এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের বিরুদ্ধে সফিকুল ইসলাম নামের এক পল্লী চিকিৎসকের কপাল ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানা লিখিত অভিযোগ করেছেন পল্লী চিকিৎসক সফিকুল ইসলাম।

বুধবার দুপুরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের খলিশাকুড়ি ছনবান্দা (সর্দারটারী) গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

রফিকুল ইসলাম রাজ্জাক বলদিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। আর সফিকুল ইসলাম একজন পল্লী চিকিৎসক। তিনি ওই ইউনিয়নের খলিশাকুড়ি ছনবান্দা (সর্দারটারি) গ্রামের মরহুম মফিজ উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিনে কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করানো হচ্ছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করেন সফিকুল ইসলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম রাজ্জাক পল্লী চিকিৎসক সফিকুল ইসলামকে কোদালের হাতল দিয়ে আঘাত করেন। এতে সফিকুল ইসলামের কপাল ফেটে যায়। সফিকুল ইসলাম ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়ছেন। তার কপালে তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে।

সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিনে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম রাজ্জাক কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে খলিশাকুড়ি ছনবান্দা (সর্দারটারি) গ্রামের একটি পুকুর থেকে মাটি তুলে পুকুরের পাড় ঠিক করাচ্ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এই বিষয়টি জানাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি সদস্য কোদাল দিয়ে আঘাত করে কপাল ফাটিয়ে দেয়।’

ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম রাজ্জাক বলেন, ‘আজকে শ্রমিক দিবস জানা ছিল না। শ্রমিকরা কাজে ধরেছিল। আমি সেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। পরে শ্রমিকরা প্রকল্পের নয়, ব্যক্তি মালিকানা কাজ করে। এ সময় সফিকুল ছবি তুলতে গেলে বাধা দিলে ধস্তাধস্তি হয়। সফিকুলের হাতে থাকা মোবাইল তার কপালে লেগে কপাল ফেটে যায়।’

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ফার্মাসিস্ট মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সফিকুল ইসলামের কপালে তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি রযেছেন।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম বলেন, ‘সরকারি ছুটির দিনে কর্মসৃজন কর্মসুচির শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর নিয়ম নেই। ইউপি সদস্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হবে।’

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডের ৫২ জন শ্রমিকের মধ্যে আজ ১৬ জন শ্রমিক কাজ করেছে। এই বিষয়ে ইউপি সদস্যকে নিষেধ করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিকে থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।’

কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিশ্বদেব রায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement