সৈয়দপুরে জামায়াতের উদ্যোগে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায়
- সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
- ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২০
প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে পুরো দেশ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বৈশাখের কড়া রোদের দাপটের কারণে নানান রকমের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন মানুষ। বাড়ছে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। পানির অভাবে ক্ষেত্রের ফসল ও আম-লিচুর গুটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
এমতাবস্থায় তাপদাহে সৃষ্ট শোচনীয় পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে দেশব্যাপী সাংগঠনিকভাবে সালাতুল ইসতিসকার আদায়ের কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এরই অংশ হিসেবে নীলফামারীর সৈয়দপুরেও খোলা আকাশের নিচে ‘ইসতিসকার নামাজ' আদায় করেছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে (অচিনার ডাংগা) এই আয়োজন করা হয়। উপজেলা জামায়াত আয়োজিত বৃষ্টির জন্য এই বিশেষ নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নামাজের পূর্বে সাধারণ মুসুল্লিদের উদ্দেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আমির ও জেলা মজলিশে শূরা সদস্য হাফেজ মাওলানা আবদুল মুনতাকিম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর শহর আমির ও জেলা মজলিশে শূরা সদস্য শরফুদ্দীন খান ও শহর সেক্রেটারি মাওলানা ওয়াজেদ আলী।
দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলার সাবেক সেক্রেটারি মাওলানা গাওহার আলি। নামাজে ইমামতি করেন সাবেক উপজেলা সেক্রেটারি ও চাপড়া কাশিরাম আলীম মাদরাসার সদ্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পীর সাহেব মাওলানা সাজেদুর রহমান।
দোয়ার আগে প্রধান অতিথি বলেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে জানা গেছে, মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সা: সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন।
সে জন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন। আমরাও পাপে ভরপুর হয়ে গেছি। এজন্যই আল্লাহ এমন দূর্বিষহ অবস্থায় ফেলেছেন আমাদের। তাই রাসূল সা:-এর অনুসরণ করে নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দিয়েছেন জামায়াত নেতারা।
তিনি বলেন, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করে কুরআনের সমাজ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হলে এ ধরনের বৈশ্বিক ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের পরিবেশই তৈরি হবে না। কারণ ইসলামে পরিবেশ এবং সমাজ পরিচালনায় যে দিক নির্দেশনা আছে তা আল্লাহ প্রদত্ত এবং প্রকৃতি সহায়ক। জীবনের সবক্ষেত্রেই ইসলাম পালন সকল দূরাবস্থা থেকে আমাদের রক্ষা কবচ। তাই তিনি দীন কায়েমে সকলকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ এখানে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে চোখের পানি ফেলে ফেলে বৃষ্টি কামনায় ফরিয়াদ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা