সৈয়দপুর কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষের তালা খুলে দিলেন ইউএনও
- সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা
- ২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৪২
নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে ছাত্রলীগ কর্তৃক দেয়া তালা খুলে দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় সকলের উপস্থিতিতে এটি সম্পাদন করা হয়। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারী, সুধীজন ও শিক্ষার্থীদের সাথে দীর্ঘ সময় আলোচনা করেন তিনি। এতে উপস্থিত সকলে মতামত ব্যক্ত করেন। সকলের সম্মতির ফলে দীর্ঘ কয়েকদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজ হাতে অধ্যক্ষের কক্ষের তালা হাতুরি দিয়ে ভেঙে মুক্ত করে অধ্যক্ষের কার্যালয়।
এ সময় সৈয়দপুর সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ ড. আতিয়ার রহমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইসমাইল, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজমল হোসেন সরকার, থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা ফিরোজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহারিয়ার আলম টুটুল, সৈয়দপুর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আকাশ সরদার ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমসহ অন্য ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক মন্ডলী, সাংবাদিক ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, সকলের সম্মতিতে কলেজের স্বার্থে বিদ্যমান সঙ্কট নিরসনে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এলে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করার মধ্যেই প্রকৃত কল্যাণ নিহিত। সেজন্যই নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই সমাধান আনা সম্ভব হয়েছে। বাকি প্রশাসনিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত অন্য বিষয় সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সমাধান হবে। সে কারণে বিষয়টি মাউশিতে অবগত করা হয়েছে। মাউশি কর্তৃপক্ষ বাকি বিষয়ে সমাধান দিবে।
উল্লেখ, গত ৭ মার্চ ঐতিহাসিক দিবসে কলেজে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু না বলার অভিযোগে গত ১৩ মার্চ থেকে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছে কলেজ ছাত্রলীগ। কিন্তু অধ্যক্ষ ৭ মার্চ ছুটিতে ছিলেন এবং ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। গোলজার হোসেন নামে একজন শিক্ষককে ওই অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক করেন তিনি। ছাত্রলীগ ও কয়েকজন আওয়ামী ঘরানার শিক্ষকের অভিযোগ অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু না বলেই অনুষ্ঠান শেষ করেছেন। তিনি বিএনপি ও জামায়াতপন্থী হওয়ায় কোনো প্রকার জবাবদিহি করেননি। একারণে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হচ্ছে।
এরপর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষের সাথে বসেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় ছাত্রলীগ গত ২৪ মার্চ অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে তার কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়। এর প্রেক্ষিতে ২৫ মার্চ বেলা আড়াইটা থেকে ৪টা পর্যন্ত সকলকে নিয়ে আলোচনায় বসেন ইউএনও। এরপরই সর্বসম্মতিক্রমে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে তালা খুলে দেয়ার মাধ্যমে সমাধান করেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা