গোবিন্দগঞ্জে তীব্র যানজটে নাকাল জনজীবন
- গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা
- ০৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৩
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে তীব্র যানজটে নাকাল জনজীবন। প্রতিদিন ঘণ্টা পর পর যানজটের দরুণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কর্মঘণ্টা। অথচ র্দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চললেও যানজট নিরসনে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই।
জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের গেটওয়ে নামে পরিচিত গোবিন্দগঞ্জ শহরে চতর্দিক থেকে যানবহন প্রবেশ করে। ফলে সব সময় গাড়ির চাপ লেগেই থাকে। কিন্তু সঠিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় যানজট লেগেই থাকে। বগুড়া-রংপুর বিশ্ব রোডের বোয়ালিয়া থেকে পান্থাপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা সব সময়ই যানজটের কবলে থাকে। শুধু তাই নয় দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ রোডের পেট্রলপাম্প থেকে থানা মোড় পর্যন্ত তীব্র যানজট থাকে সকাল ৯টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত। এ সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবহন আটকা থাকে। এতে করে যানবহনগুলো নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। যানজটের সময় পায়ে হেঁটেও রাস্তায় চলাচল দুস্কর হয়ে পড়ে। শহরে যানজট নিরসনে ও যান চলাচলে সহায়তাকারী ট্রাফিক পুলিশ ও মহাসড়ক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পাশেই হাইওয়ে থানা থাকলেও কোনো উপকারে আসছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক ও দিনাজপুর-ঢাকা ভায়া গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে এলোপাতাড়িভাবে যানবাহনের চলাচল এবং সড়কের পাশেই রিকশা ও অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে ফুটপাতগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় যানজটের অন্যতম কারণ বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন। উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলার সাথে সড়ক যোগযোগের ক্ষেত্রে প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত এ সড়কটিকে যানজট মুক্ত করতে না পারলে প্রতিদিনই মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়ে যাবে। সেই সাথে সময় মত গন্তব্যে পৌঁছিতে না পারলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
বাসযাত্রী করিম মিয়া জানান, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতাল মোড় থেকে পান্থাপাড়ায় ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লেগেছে। এতে করে তিনি সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছিতে পারবেন না। শুধু করিমই নন করিমের মতো শত শত যাত্রী যানজটে আটকা পড়ে নানা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
উত্তরের রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার সকল প্রকার যানবাহন রাজধানীসহ বিভিন্নস্থানে চলাচল করে। এছাড়াও মধ্যপাড়া, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এবং হিলি, বুড়িমারী, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের পণ্যবাহী বিভিন্ন যানবহন গোবিন্দগঞ্জ শহর হয়ে যাতায়াত করে। এত বিপুল সংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ যানবহন চলাচল করলেও যেন কারো মাথা ব্যাথা নেই।
স্থানীয় দোকানদার ফুলমিয়া জানান, মহাসড়কে সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশা এলোপাতাড়িভাবে দাঁড় করে রাখা, দূরপাল্লার বাসগুলোর কাউন্টার চৌমাথা এলাকায় হওয়ায় যানজটের নিরসন হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর চন্দন বলেন, স্টোরে আলু নিয়ে আসা ভ্যানের কারণে প্রচণ্ড যানজট হচ্ছে। এছাড়াও শহর এলাকায় সড়ক সংস্কার না হওয়ায় ধীরগতির যানবাহন চলাচলে যানজট অন্যতম কারণ।।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ বলেন, মহাসড়কের কাজ চলমান রয়েছে। ফলে শহর এলাকা জুড়ে ছোট বড় খানা খন্দকে ভরে গেছে। এছাড়াও থানা চারমাথা থেকে উপজেলা সড়ক পর্যন্ত মহাসড়কের অংশটি সংকুচিত রয়েছে। সড়ক সংস্কার শেষ হলে সমস্যা কাটিয়ে উঠবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা