স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর মেয়ে ও শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত, অভিযুক্ত গ্রেফতার
- ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা
- ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:২৫
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে শাহিদা বেগম নামের এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করেছে স্বামী। এসময় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন নিহত গৃহবধূর মা মরিয়ম বেগম ও মেয়ে সুমাইয়া।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের চর পাইকেরছড়ার মওলানা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গৃহবধূর স্বামী অভিযুক্ত আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেফতার করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, কাঠ ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিকের সাথে একই গ্রামের শাহিদা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের তিনটি কন্যাসন্তান রয়েছে। আবু বক্কর ঘরজামাই হিসেবে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন এবং স্ত্রী পরকীয়া করেন বলে সন্দেহ ছিল তার। এ কারণে তাদের মধ্যে আগে থেকেই কলহ চলে আসছিল।
তারই জের ধরে সোমবার মধ্যরাতে আবুবক্কর স্ত্রী শাহিদা বেগমকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে মেয়ে সুমাইয়া (৮) ও শাশুড়ি মরিয়ম বেগমকে (৫০) ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান তিনি।
ভূরুঙ্গামারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিহত শাহিদার মা মরিয়ম বেগম বলেন, ‘আবু বক্কর ছুরি দিয়ে শাহিদাকে গলা কেটে তাকে হত্যা করেছে। শাহিদার মেয়ে সুমাইয়া বিষয়টি প্রথমে টের পায়। সুমাইয়া চিৎকার দিলে তাকেও সে ছুরিকাঘাত করে। সুমাইয়ার চিৎকার শুনে আমি এগিয়ে গেলে আমাকে আঘাত করে পালিয়ে যায় আবু বক্কর। এসময় শাহিদা গলাকাটা অবস্থায় পড়ে ছিল। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, ‘সুমাইয়া ও মরিয়ম বেগম নামের দু’জন ভূরুঙ্গামারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা এখন আশঙ্কামুক্ত।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, ‘নিহত শাহিদার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর স্বামী আবু বক্করকে স্ত্রী হত্যার দায়ে সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে।‘
অভিযুক্ত আবু বক্কর নিজ স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলেও জানান ওসি। তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা