এই করোনা সঙ্কটে আশা এনজিও'র মামলায় আটক অসহায় গৃহবধূ
- বিরামপুর (দিনাজপুর) সংবাদাতা
- ২৩ অক্টোবর ২০২০, ১১:০৩
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেশ থেকে এখনো বিদায় নেয়নি। এর মধ্যে কিছু এলাকায়
বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গেছে অনেক ফসল। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের আয়-রোজগার কমে গেছে। অথচ থেমে নেই ঋণ প্রদানকারী এনজিও তথা বেসরকারি সংস্থাগুলোর দৌরাত্ম্য। আর্থিক দুরাবস্থা ও সঙ্কটের কারণে ঠিকমতো ঋণের কিস্তি দিতে না পারায় প্রতিনিয়ত কিছু এনজিও কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা হয়রানিসহ অপমান ও অপদস্ত করছে অভাবগ্রস্ত ঋণ গ্রহিতাদের। এমনকি মামলার শিকার হতে হচ্ছে অনেককে। এমন এক ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুরের বিরামপুরে এক অসহায় গৃহবধূর সাথে।
জানা গেছে, বিরামপুর পৌর শহরের কৃষ্টচাঁদপুর মহল্লার রহমানের স্ত্রী মাছুরা বেগম ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর 'আশা' এনজিও'র বিরামপুর শাখা থেকে এক বছর মেয়াদে ৭০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করে। তারপর তিনি সুদসহ ঋণের কিস্তি দিতে থাকেন। কিন্তু স্বামীর অসুস্থতা ও পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে পুরো টাকা পরিশোধ করতে পারেননি তিনি। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ঋণ পরিশোধের মেয়াদ শেষ হবার পরও সুদসহ তার ৩৬ হাজার ৯ শ' ৭৩ টাকা বাকি থাকে। এদিকে মেয়াদ শেষের মাত্র তিন মাস পরে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি এনজিও 'আশা' ঋণ গ্রহিতা ওই গৃহবধূর নামে আদালতে মামলা দায়ের করে।
মামলার প্রেক্ষিতে বর্তমানে ওই গৃহবধূর নামে আদালত থেকে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। যারফলে বিরামপুর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার মাছুরা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে এনজিও আশা'র আঞ্চলিক ম্যানেজার আনিসুর রহমান ও বিরামপুর শাখা ম্যানেজার মশফিকুর রহমানের সাথে কথা বললে দায়সারাভাবে তারা বলেন, আমরা বুঝতে পারিনি কখন মাছুরা বেগমের নামে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। করোনাকালীন এ দুঃসময়ে ক্ষুদ্র ঋণের নামে বেসরকারি সংস্থাগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রচেষ্টা মড়ার উপর খরার ঘাঁ হয়ে দেখা দিচ্ছে কিনা এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে সচেতন মহল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা