ব্যাংক না থাকায় ভোগান্তি
- রুহিয়া (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা
- ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৫৮
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা থেকে ১৫ কিলোমিটার ও রুহিয়া থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে রাজাগাঁও ইউনিয়নের অবস্থান। জনসংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৫টি হাটবাজার আছে। প্রায় দুই হাজার মানুষ বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা পান। কিন্তু সেখানে ব্যাংকের কোনো শাখা নেই। এ কারণে ওই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের ১০ কিলোমিটার দূরে এসে ব্যাংকে লেনদেন করতে হয়। এতে আর্থিক খরচের পাশাপাশি তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তাছাড়া, দূরদূরান্ত থেকে ব্যাবসায়ীরা আসেন। ব্যাংক না থাকায় সবাইকে ঝুঁকি নিয়ে টাকা বহন করতে হয়।
রাজাগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের অন্তত পাঁচ শ’ জন দেশ-বিদেশ থেকে নিয়মিত টাকা পাঠান। রয়েছে ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার শিক্ষক-কর্মচারী বেতন ওঠান ব্যাংক থেকেই। ওই ইউনিয়নে ছোট-বড় ৫টি বাজারে রয়েছে প্রায় হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আছে ইউনিয়ন পরিষদ, চালকল, রড-সিমেন্টের ডিলার, মুরগির ফার্মসহ ইটভাটার মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান। ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার মানুষ বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা পান। এত কিছুর পরও কোনো ব্যাংকের শাখা না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেখানকার মানুষকে।
রুহিয়া জনতা ব্যাংকে ভাতার টাকা তুলেন রাজাগাঁও ইউনিয়নের মো: আমজাদ হোসেন (৭০)। তিনি বলেন, ‘বাবা, মুই তো আগের মতন বেড়াবা পারু না। হামার বুড়া মানুষের কষ্ট তো কেহ বুঝে না। বাড়িতে ১০ কিলোমিটার দূরত ওসে টাকা তুলিতে যে কী কষ্ট হচে, ওইডা তুমাক বুঝবা পারিম নি। হামার ইউনিয়নত একটা ব্যাংক রহিলে এরং কষ্ট হলেহে নি।’
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৪ নম্বর রাজাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মোশারুল ইসলাম সরকার বলেন, এখানে ব্যাংকের কোনো শাখা না থাকায় শিক্ষক, ব্যবসায়ী, ভাতাভোগীসহ ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একটি ব্যাংকের শাখা হলে এলাকায় আরো ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে, সাধারণ মানুষও আর্থিক নিরাপত্তা পাবে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, রাজাগাঁও ইউনিয়নে যাতে ব্যাংকের শাখা খোলা হয়, তিনি চেষ্টা করবেন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে কথা বলবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা