শেখ হাসিনা তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়কেও ভাঙ্গন
- রংপুর অফিস
- ১১ আগস্ট ২০২০, ১৬:১১
চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের স্মৃতি বিজড়িত শংকরদহ গ্রাম বিলীন হওয়ার পর তিস্তা নতুন গতিপথে মোড় নিয়ে আঘাত করেছে শেখ হাসিনা তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়কে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যেকোনো মুহূর্তে সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে রংপুর-লালমনিরহাটের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। জরুরিভিত্তিতে বস্তা ফেলে সড়কটি রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে এলজিইডি।
সরেজমিনে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে স্থানীয় লক্ষিটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল হাদি জানিয়েছেন, বিলীন হয়ে যাওয়া শংকদর গ্রামের পাশের একমাত্র রাস্তাটি রক্ষা করার জন্য আমরা শত আকুতি জানিয়েছিলাম ডিসিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে। কিন্তু মাত্র ৬ হাজার বস্তা দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু পারা যায়নি। আমরা ২০ হাজার বস্তা দাবি করেছিলাম। পাউবো সেটি দেয়নি। সে কারণে রাস্তাটি ভেঙ্গে তিস্তা নতুন গতিপথ তৈরি করেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পশ্চিম ইচলি, পুর্ব ইচলিসহ ৫টি গ্রামের প্রায় ৫০০ বাড়িঘর নদী গর্ভে চলে গেছে। সোমবার রাতে আবারো পানি বৃদ্ধির কারণে মঙ্গলবার সকালে ভাঙ্গন এসে ধরেছে শেখ হাসিনা তিস্তা সংযোগ সেতুর এসকে এস বাজার সংলগ্ন ব্রিজের উত্তর পাশে। সেখান থেকে পিচিং ও বোল্ডার সরে যাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সড়কটি ভেঙ্গে যাবে। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে রংপুর-লালমনিরহাটের যোগাযোগ ব্যবস্থা। আমরা বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে ধর্না দিয়েও তাদের অবহেলার কারণে আজকে শেখ হাসিনা তিস্তা সেতু অচল হওয়ার পথে। ৫০ হাজার মানুষ ভাঙ্গন ও বন্যার পানিতে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে।
এদিকে ভাঙ্গন এলাকায় মানুষের ভিড় জমেছে। এলাকাবাসী ভাঙ্গন ও ব্রিজটি রক্ষায় মানববন্ধন করেছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রকৌশল দফতরের সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইবরাহিম জানান, এসকেএস বাজারের পাশের তিস্তা সড়ক সেতুর সংযোগ সড়কের ব্রিজের উত্তর পাশে পানি বৃদ্ধির কারণে ভাঙ্গন ধরেছে। ব্লক ও পিচিং সরে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা তিস্তা সেতু ও সংযোগ সড়ক লালমনিরহাট এলজিইডি বাস্তবায়ন করলেও বিয়ষটি জানতে পেরে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি এক হাজার বস্তা নিয়ে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ শুরু করেছি।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, সোমবার রাত থেকে তিস্তার পানি বাড়ছে। তবে তা এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। রাত অবধি সেটি বাড়তেই থাকতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা তিস্তা সেতু অববাহিকা এলাকার ৫০ হাজার মানুষ চরম আতঙ্কে সময় পার করছেন। জরুরি ভিত্তিতে সেখানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া না হলে বড় ধরণের সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় পড়বে খোদ সড়ক সেতুটিসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা