মিষ্টি কুমড়া হাসি ফুটালো কৃষকের মুখে
- শামসুজ্জোহা সুজন, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)
- ০৭ মে ২০২০, ১৩:৫৬
আলুর সাথে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। অল্প সময়ে কম খরচে বেশি ফলন পাওয়ায় উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের অনেক কৃষক আলুর জমিতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া চাষে করছেন। সাধারণত জমি থেকে আলু তুলে নেয়ার পর অন্য ফসল রোপনের পূর্ব পর্যন্ত জমি পতিত পড়ে থাকে। রোপনকৃত আলুর চারা গজানোর ২৫/৩০ দিন পর সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোপণ করলে জমি আর পতিত ফেলে রাখতে হয় না। আলু তোলার সময় যখন ঘনিয়ে আসে মিষ্টি কুমড়ার চারাগুলো ততদিনে ডালপালা মেলতে শুরু করে। মিষ্টি কুমড়ার ডালপালা সরিয়ে রেখে আলু তুলে নেয়া হয়। এর কিছুদিন পর কুমড়া ধরতে শুরু করে। তখন কৃষকের ক্ষেত ভরে থাকে মিষ্টি কুমড়ায়। আর শত শত পাকা মিষ্টি কুমড়া স্তুপাকারে জমতে থাকে ঘরের মেঝেতে।
বীর বারইটারী গ্রামের কৃষক শহিদ তার ১৮ শতাংশ জমিতে আলুর সাথে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছিলেন। সেই জমিতে নয় শ’ কুমড়া ফলেছে। পাইকাররা প্রতিটি কুমড়ার জন্য গড়ে ৩০ টাকা করে দিতে ইচ্ছুক। তিনি আরো বেশি দাম পাওয়ার আশাবাদী। তিনি জানান, কুমড়া চাষের জন্য তেমন খরচ করতে হয়নি। উপরন্তু হাজার ত্রিশের মতো টাকা বাড়তি আয় হবে।
মাঝিটারী গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন জানান, এ বছর তিনি ৪০ শতাংশ জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ ও সার সরবরাহ করা হযেছে। এতে তার তেমন খরচ হয়নি। ওই জমিতে ২৫০০ কুমড়া ফলেছে। প্রতিটি মিষ্টি কুমড়া গড়ে ৩০ টাকা দরে বিক্রির আশা করছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে এতে তার ৫০ হাজার টাকার মতো লাভ হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, আলুর সাথে মিষ্টি কুমড়া চাষ করা হলে তেমন বাড়তি খরচ হয় না কিন্তু অল্প সময়ে আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়া যায়। অন্য ফসল চাষ করে এতটা লাভবান হওয়া যায় না। আলুর সাথে মিষ্টি কুমড়া চাষের আগ্রহ বাড়াতে কৃষক ভাইদের বীজ ও সার সহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।