১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আমতলা চরে শিক্ষাবঞ্চিত ২ শতাধিক শিক্ষার্থী

- ছবি : সংগৃহীত

ভাঙছে চর, গড়ছে চর, ছিন্নভিন্ন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম, বাদ যাচ্ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। ভাঙনের খেলায় চলছে মানুষের দৌড়ের খেলা, দিশেহারা হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা।

সঠিক পদক্ষেপ আর নজরদারির অভাবে পিছিয়ে পড়ছে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী ইউনিয়নের আমতলা চরাঞ্চলের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। বর্তমান সরকারের আমলে দেশ শিক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে ব্যাপক এগিয়ে গেলেও দিনের পর দিন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় নানা অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে যাচ্ছে সেখানকার কোমলতি ছেলে-মেয়েরা।

জানা গেছে, উপজেলা চিলমারী ইউনিয়নের আমতলা চরে প্রায় চার শতাধিক পরিবারের বসবাস। ভাঙনের শিকার হয়ে পরিবারগুলো বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে কয়েক বছরে আমতলা চরে এসে আবাস গড়ে তুলেছেন। পরিবারের সাথে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীও চলে আসে এই চরে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাঙনের কারণে আমতলা চরের আশপাশের শিক্ষার্থীরাও এখন দিশাহারা।

শিক্ষার্থী আফছানা জানায়, তারা আগে রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের লাল চামার চরে বসবাস করতো। নদী ভাঙনে তা বিলীন হওয়ায় পরিবারসহ আমতলা চরে আশ্রয় নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করছে। কিন্তু এই চরে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় পড়াশোনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

নাজিম, মাফিয়া, মর্জিনা বলে, এই চরে স্কুল না থাকায় তারা কয়েকজন মিলে চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চর ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র চরে অবস্থিত নৌ-থানা পরিচালিত একটি স্কুলে যান। ওই স্কুলে যেতে নৌকায় প্রায় ১ ঘণ্টা সময় লাগে, এছাড়া ভয়তো আছেই।

রুবেল নামে অপর এক শিক্ষার্থী বলে, ‘এখানে স্কুল না থাকায় আমি এখন বাড়ির কাম (কাজ) করি, অন্যের গরু চড়াই, মাঠেও কাম (কাজ) করি।’

সাহের আলী, আকবর আলীসহ এলাকার অনেকে জানান, এই চরে প্রায় চার শতাধিক পরিবারের বসবাসের পাশাপাশি এখানে দুটি আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এখানে অন্তত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলা দরকার, তা না হলে শতশত ছেলে-মেয়ে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে আর জড়িয়ে পড়বে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে। এলাকাবাসী আমতলা চরে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেন।

চিলমারী উপজেলার ডুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এনামুল হক বলেন, আমতলা চরটি গড়ে উঠার বেশ কয়েকবছর হলো। এখানকার ছেলে-মেয়েরা এখনও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এই চরে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়া খুবই প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম-৪ (চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর) আসনের সংসদ সদস্য  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। শিক্ষা থেকে কোনো এলাকার ছেলে মেয়ে কিংবা শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে না পড়ে সে দিকে আমাদের নজর আছে।’

‘আমতলা চরে শিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে আমাদের নজর থাকবে। প্রয়োজনে সেখানে নতুন করে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে,’ যোগ করেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
কেউ যেন অর্থপাচার না করতে পারে সেই ব্যবস্থা করে যাবো : অর্থ উপদেষ্টা সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিম আর নেই ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে’ উত্তরবঙ্গের ৩ বিভাগে কি একজনও যোগ্য লোক নেই : সারজিস তিন শূন্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবী গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার গজারিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু আমতলীতে জমি নিয়ে বিরোধে নারীকে কুপিয়ে জখম ঢাকায় স্ত্রীকে নিয়ে রিকশা চালালেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করা হবে : সেলিম ভূঁইয়া ট্রাম্পের অধীনে আমেরিকা : যেভাবে দেখছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চারা জীবন দেয় আর মুরব্বিরা পদ ভাগাভাগি করেন : হাসনাত

সকল