০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১,
`

‘গুজবে’ লবণের কেজি ২০০ টাকা!

- ছবি : নয়া দিগন্ত

দিনাজপুরে ‘গুজব’ ছড়িয়ে পড়ায় ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে লবণ। এ অবস্থায় লবণ কেনার জন্য বাজারের দোকানগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ। সুযোগ বুঝে বাজারের সব দোকান থেকে লবণ সরিয়ে ফেলেছেন ব্যবসায়ীরা।

ফলে অতিরিক্ত টাকা দিয়েও মিলছে না লবণ। এর মধ্যে ১২০ টাকা কেজিতে লবণ বিক্রির দায়ে শহরের বাহাদুর বাজারের দুটি দোকানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে লবণের দাম বাড়বে এমন ‘গুজব’ জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ‘গুজবে’ কান দিয়ে অনেকেই অতিরিক্ত লবণ কিনে ফেলেন। এর মধ্যে অনেক দোকানদার লবণ সরিয়ে ফেলেন। সেই সঙ্গে গোডাউনে মজুত রেখে অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। এতে সাধারণ মানুষ লবণ কেনার জন্য বাজারে ভিড় জমান। সর্বনিম্ন পাঁচ কেজি থেকে সর্বোচ্চ ২০ কেজি করে লবণ কিনেছেন কেউ কেউ।

শহরের দপ্তরিপাড়া মহল্লার ভ্যানচালক আকবর আলী বলেন, মানুষের মুখে শুনলাম পেঁয়াজের মতো লবণের দামও বাড়বে। তাই দুই কেজি লবণ কিনলাম। তবে কারা এমন ‘গুজব’ ছড়ালো তা জানি না।
শহরের মালদহপট্টির মিলন বস্ত্রালয়ের মালিক মিলন মিয়া শহরের পুরাতন বাহাদুর বাজার থেকে পাঁচ কেজি লবণ কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, পেঁয়াজ আতঙ্কে লবণ কিনে রাখলাম। যদি পরে না পাওয়া যায়। পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে লবণ।

পার্বতীপুর উপজেলার বাসিন্দা খোরশেদ আলম বলেন, আব্দুল আজিজ শাহ মার্কেটে আমিনুল স্টোরে ১৪০ টাকা কেজিতে লবণ বিক্রি হচ্ছে। আমি দুই কেজি কিনেছি। লবণ কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মানুষ।

এদিকে, ‘গুজব’ ছড়িয়ে লবণের দাম বাড়িয়ে দেয়ায় দিনাজপুরের ১৩ উপজেলার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন দেশে লবণের কোনো ঘাটতি নেই। এসব গুজব, কেউ গুজবে কান দেবেন না। এরপরও মানুষ সতর্ক না হওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুপুরে বিভিন্ন উপজেলায় মাইকিং শুরু করা হয়।

মাইকিং করে বলা হয়, লবণ নিয়ে কেউ আতঙ্কিত হবেন না। লবণ নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে, লবণের দাম বাড়বে না। সবাই সতর্ক হোন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফিরুজুল ইসলাম বলেন, বাজার পরিদর্শনে গিয়ে বাহাদুর বাজারে জোৎস্না ও আবিদা বানুর কাছে বেশি দামে লবণ বিক্রি করায় আমির স্টোরের মালিক সজিবুর রহমানকে ৫০ হাজার টাকা ও শাহিনুর রহমানের কাছে বেশি দামে লবণ বিক্রি করায় রফিক স্টোরের মালিক মাজেদুর রহমানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ইউএনও মো. ফিরুজুল ইসলাম বলেন, যদি কেউ লবণ নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রতিটি উপজেলায় ম্যাজিস্ট্রেটরা বাজার মনিটরিং করছেন। লবণ নিয়ে গুজব ছড়ালে আটক করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement