আসিফ আমার ভাই, আমাদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই : সাদ
- সরকার মাজহারুল মান্নান রংপুর অফিস
- ০৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:২৯
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে বিজয়ী নিজ পুত্র রাহগির আলমাহি এরশাদ (সাদ এরশাদ) রোববার দুপুরে এরশাদের পৈত্রিক নিবাস স্কাইভিউতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় আসিফ একসাথে রংপুরের উন্নয়নে কাজ করার ঘোষণা দেন।
রংপুরের উপ নির্বাচনে সাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আলোচনায় ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এরশাদের ভাতিজা সাবেক এমপি হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ। তিনি এই নির্বাচনে হয়েছেন তৃতীয়। ভোট পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৮৪ ভোট।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের পর ভোটের ফলাফল নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন ছিলেন আসিফ। কারণ নির্বাচনের আগে তিনি ছিলেন বেশ আলোচনায়। এই ভোট ম্যানুপোলেশন হয়েছে বলেও ধারণা পোষণ করেছিলেন আসিফ। নির্বাচন কমিশনের ওপর যে আস্থা তার ছিল সেটাও আর নেই বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছিল।
এরই মধ্যে রোববার দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে এরশাদের পৈত্রিক নিবাস নগরীর সেনপাড়ায় যান নব নির্বাচিত এমপি সাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক এসএম ফখর উজ-জামান জাহাঙ্গীর। এই বাড়িতেই থাকেন আসিফ। এমপি সাদ স্কাইভিউতে গিয়ে প্রথমে আসিফের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে পরিবারের সবার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পরে সাদ বলেন, আসিফ আমার ভাই। আমাদের মধ্যে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই। সে যদি জাতীয় পার্টিতে ফিরতে চাই। আমরা তাকে ওয়েলকাম জানাব। আমি রংপুরের উন্নয়নে তার সহযোগিতা চেয়েছি। সে আমাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীএরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ জানান, সাদ বিজয়ী হয়েছে। অভিনন্দন তাকে। সে আমার কাছে রংপুরের উন্নয়নে কাজ করার সহযোগিতা চেয়েছে। আমিও তাকে একসাথে কাজ করার কথা জানিয়েছে। রংপুর ও সারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে যে অবদান আছে তা সারা বিশ্বে সমাদৃত। আমরা এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চাই। নিজ দলে ফেরার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি চাইলেও কী দলে ফিরতে পারব?
শনিবারের নির্বচানে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী রাহগির আলমাহি এরশাদ ( সাদ এরশাদ) ৫৮ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির রিটা রহমান পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৪৭ ভোট। এছাড়ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ মোটরগাড়ি প্রতীক নিয়ে ১৪ হাজার ৯৮৪ ভোট, এনপিপি’র শফিউল আলম আম প্রতিক নিয়ে ৬১১ ভোট, গণফ্রন্টের কাজী মাঃ শহীদুল্লাহ মাছ প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৬৬২ ভোট এবং খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান ম-ল দেয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯২৪ ভোট। এই নির্বাচনে ২২ দশমিক ৮৬ ভাগ ভোট পড়েছে।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যও রংপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক এসএম ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর জানান, আমরা স্যারের সেনপাড়ার বাসার স্কাইভিউতে গিয়েছি। সেখানে আসিফের সাথে আমাদের হৃদ্যতাপূর্ণ আলাপ হয়েছে। সে যদি দলে ফিরতে চায়, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
গত ১৪ জুলাই রংপুর সদর ৩ আসনের এমপি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর ১৬ জুলাই আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা