মামার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু
- ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা
- ২২ আগস্ট ২০১৯, ১৯:৪৬
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মামার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে ফাহিমা (১২) নামের এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত ফাহিমা বাউশমারী ফাজিল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ও উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের বাউশমারী গ্রামের ফরহাদ আলীর মেয়ে।
জানা গেছে, উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের বাউশমারী গ্রামের ফরহাদ আলীর মেয়ে ফাহিমা এক সপ্তাহ আগে মামীর সাথে মামার শ্বশুর গ্রাম পুলিশ সদস্য জহির উদ্দিনের বাড়ি কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামে বেড়াতে যায়।
নিহত ফাহিমার মামী জানান, বুধবার দুপুরে ফাহিমা ঘরের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে রাখে। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় লাথি দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে ফাহিমাকে গলায় ওড়না প্যাচানো অবস্থায় ঝুলে থাকতে দেখতে পান। সাথে সাথে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামানো হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
ফাহিমার পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, বুধবার রাতে ফাহিমা অসুস্থ্য জানিয়ে মোবাইলে তার বাবাকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে তার বাবা, মা মর্জিনা বেগম, মামা হাফিজার রহমানসহ অন্যরা এসে ফাহিমাকে বিছানায় শোয়া মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তাদেরকে জানানো হয় ফাহিমা আত্মহত্যা করেছে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে লাশের সুরৎহাল রিপোর্ট তৈরি করে এবং বৃহস্পতিবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করে।
ফহিমার মামা হাফিজার রহমান বলেন, ফাহিমা আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
অপরদিকে ঘটনাস্থলের আশপাশের বাসিন্দারা জানান, তারা বিভিন্ন সময় ফাহিমাকে মোবাইলে বাড়ির আনাচে কানাচেতে কথা বলতে দেখেছেন। তাদের ধারণা এই ঘটনায় প্রেমঘটিত কোনো ইস্যু জড়িত থাকতে পারে। এরই প্রেক্ষিতে ফাহিমা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে।
ওসি (তদন্ত) জাহেদুল ইসলাম জানান, নিহত কিশোরীর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির জানান, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।