রংপুরে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিএমডিসির রিট প্রত্যাহারের দাবি

এমবিএস ও বিডিএস ছাড়া নামের আগে কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না নিশ্চিত করা এবং ম্যাটস শিক্ষার্থীদের স্যাকমো পদবী রহিত করাসহ ৫ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালসহ বেসরকারি তিনটি হাসপাতালের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্নি চিকিৎসকরা।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর মহানগরীর মেডিক্যাল মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

এর আগে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে মেডিক্যাল মোড়ে আসেন তারা। মিছিল ও অবরোধে যোগ দেন বেসরকারি রংপুর কমিউনিটি মেডিক্যাল ও হাসপাতাল, প্রাইম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং আর্মি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষর্থী ও ইন্টার্নি চিকিৎসকরা। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এ সময় রংপুরের সাথে দিনাজপুর, নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁও জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন ইন্টার্নি ডাক্তারদের মধ্যে রংপুর মেডিক্যাল কলেজের সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান ও ডা. আবু রায়হান, কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের সমন্বয়ক মো: রাশিদ সাবাব (নাসিফ), আর্মি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডা: নাহিদ আল হাসান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে রংপুর মেডিক্যালের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী সাদিক শাহরিয়ার, প্রাইম হাসপাতালের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী সিগবাতুল ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, ম্যাটস শিক্ষার্থীরা এইচএসি পড়ে না। ৪ বছরের একটা ডিপ্লোমা করে। কিন্তু তারা ডাক্তার হতে চায়। এটি ঠিক নয়। ওদের কারণে চিকিৎসা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ভুল চিকিৎসা হচ্ছে। এন্টিবায়েটিক কাজ করছে না। মেডিক্যালে শিক্ষার্থীরা পাঁচ বছর পড়ে ইন্টার্নি করে চিকিৎসক হয়, আর তারা শাহবাগে আন্দোলন করে চিকিৎসক হতে চায়। এটা অনৈতিক ও অযৗক্তিক।

রংপুর কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজের সমন্বয়ক ইন্টার্নি ডাক্তার মো: রাশিদ সাবাব (নাসিফ) বলেন, এই পরিস্থিতির উত্তরণে বিএমডিসির করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। দাবি না মানলে সারা বাংলাদেশ শাটডাউন করে দেয়া হবে।

এদিকে একই দাবিতে রংপুরসহ বিভাগের সব সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মবিরতি চলমান আছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন। ইন্টার্নি চিকিৎসকরা সেবা দেয়া বন্ধ রেখেছেন। ফলে অচলাবস্থা বিরাজ করছে ক্যাম্পাসগুলোতে।