অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বসানো হয়েছে : আব্দুস ছালাম

অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বসানো হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘যদি পটপরিবর্তন হয় একরাতে পাঁচ লাখ লোক মারা যাবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আগুন জ্বলার কথা ছিল, বিএনপির নেতা-কর্মীদের মনের আগুন। কিন্তু তারেক রহমানের এক নির্দেশে সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বুকে পাথর দিয়ে শীতল হয়ে গিয়েছিল। এটাই হল বিএনপি। মাওলানা ভাষানী বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এরা দেশটাকে লুটেপুটে খেয়ে ফেলবে। তারা দেশটাকেও খেয়ে ফেলছে, শেখ মুজিবকেও খেয়ে ফেলছে।’

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আয়োজনে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুস সালাম বলেন, ‘বিএনপি রাজনীতি করে দেশের মানুষের জন্য আর আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে নিজের জন্য আর ভারতের জন্য। এদেশের মানুষ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে পারতো না। তাই ভোটের জন্য আমরা লড়াই করেছি। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে ভোটের অধিকার অর্জন করেছে।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশে আব্দুস সালাম আরো বলেন, ‘আপনাদের দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার জন্য বসানো হয়নি। আপনাদের মাঝে যদি কারো ক্ষমতার লিপ্সা বসে তাহলে তাদেরকে ক্ষমতার মসনদ থেকে দূরে সরান। না হলে ওই দু'একজনের জন্য আপনার সরকারের চরিত্র নষ্ট হয়ে যাবে। আপনার ওপর এখনো দেশবাসীর আস্থা আছে। নিরপেক্ষ থেকে একটি আয়োজন করেন। বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায় না। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে চায়।’

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বেবু, অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব, সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদসহ অন্য নেতারা। এছাড়া জনসভায় জেলা সদরসহ নয় উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করা হয়।