২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ শাবান ১৪৪৬
`

'চল্লিশা' খেয়ে হাসপাতালে দুই শতাধিক মানুষ

- ছবি : নয়া দিগন্ত

গাইবান্ধায় চল্লিশা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দুই শতাধিক বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এদের মধ্যে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ২০০ রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ও তাদের স্বজনেরা জানায়, রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের ফুলবাড়ী রিফাইতপুর গ্রামের ইজিবাইকের চালক বেলালের মায়ের চল্লিশা (মজলিস) ছিল। সেখানে তার স্বজন ও এলাকাবাসীসহ প্রায় এক হাজার মানুষ অংশ নেন। মজলিস খাওয়ার পর ওই দিন মধ্যরাত থেকে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকে প্রাথমিকভাবে বাড়িতে চিকিৎসা নিলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন সোমবার সকাল থেকেই হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকেন। অসুস্থ হওয়া রোগীরা গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল, পাশের ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং অনেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের মেঝেতে চিকিৎসাধীন আব্দুল হাই-মিম আক্তার দম্পতি বলেন, ‘আমাদের আত্মীয়ের মজলিসে দাওয়াত খাওয়ার পর মাঝরাত থেকে দু’জনের ডায়রিয়া শুরু হয়। আমাদের আরো অনেক আত্মীয়ও এখানে চিকিৎসাধীন আছেন।’

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাদা মিয়া, খালেদা আক্তার, সাইফুল ইসলামসহ আরো অনেকে বলেন, ‘কারো মধ্যরাত থেকে ডায়রিয়া, বমি শুরু হয়। আবার কারো সকাল, দুপুর থেকে শুরু হয়। অনেক শিশুও খুব অসুস্থ।’

গাইবান্ধা হাসপাতাল ও ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৮৯ জন বিভিন্ন বয়সী রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে গাইবান্ধা হাসপাতালে ১২৪ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৫১ জন রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।’

অন্যদিকে ফুলছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬৫ জন চিকিৎসা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ আরিফা খানম বলেন, খাদ্যের বিষক্রিয়ায় কারণে অসুস্থ হয়ে তারা ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছেন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত রোগীরা আসছেন। সবাইকে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় স্যালাইন ও ওষুধ দেয়া হয়েছে।

ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুজ্জামান বলেন, মজলিসের আটার ডাল খেয়ে তারা অসুস্থ হয়েছেন। আমরা স্বল্প লোকবল দিয়ে তাদের সাধ্যমত চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দু’জনকে রংপুরে রেফার্ড করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement