পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে নদীর বালুতে বিছানা পেতেছে তিস্তার চরের মানুষ
- সাব্বির আহমেদ লাভলু, লালমনিরহাট
- ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:০১, আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:১২

তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার ও মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই-এই স্লোগানে তিস্তা পাড়ে রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলায় বৃহৎ আন্দোলন করছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন, উত্তরের ৫ জেলার তিস্তার চরের ১১টি স্থানে ২০ লাখ মানুষের জমায়েত উদ্যোগ নিয়েছে সামাজিক সংগঠনটি। তার মধ্যে লালমনিরহাট জেলায় তিস্তার ৬৭ কি.মিতে ৫ স্থানে ৫০ হাজার মানুষ কাঁথা-কম্বল নিয়ে পানিশূন্য নদীর বালুতে রাত্রীযাপন করার জন্য তাবু পেতেছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার কর্মসূচি পালন করার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে নদীতে আসতে শুরু করে লোকজন। আয়োজকরা তিস্তাপাড়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে দাবি বাস্তবায়নে চাপপ্রয়োগসহ বিশ্ব পরিমণ্ডলে তিস্তার দুঃখ তুলে ধরা হবে।
জানা গেছে, নদীর চরে অবস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিস্তার বুকে মঞ্চ তৈরীসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নিজেরা চাল-ডাল সংগ্রহ করে রান্না করছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান করবেন নদীর চরে।
প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের রাত্রিযাপনের প্যান্ডেল, সমাবেশ ও বিনোদনের জন্য মঞ্চ তৈরী, পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা করা, পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানির জন্য নলকুপ স্থাপনসহ সকল ধরনের কাজ শেষ হয়েছে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার যদি তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করে তবে লাগাতার কর্মসূচি চলবে।
তিস্তায় ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান করতে আসা মো: মোজাম্মেল হক বলেন, নদী ভাঙ্গনে সব আবাদি কৃষি জমি বিলীন হয়ে গেছে কয়েকবার বাড়ি সরাতে হয়েছে, মহা-পরিকল্পনা হলে সব জমি আবার আবাদি হবে, আগে অনেকবার মহা-পরিকল্পনা হবার কথা শুনলেও বাস্তবায়নের করতে পারেনি বিগত সরকার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুতো তিস্তা মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি করেন তিনি।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, তিস্তা চুক্তি ও মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। এটি রংপুর বিভাগবাসীর আন্দোলন। এই আন্দোলন জনদাবীতে পরিণত হওয়ায় এতে তিস্তাপাড়ের মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে। আশা করছি দু'দিন ব্যাপক লোকসমাগম ঘটবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা