‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচিতে ২০ লাখ মানুষ উপস্থিতির টার্গেট
- সরকার মাজহারুল মান্নান, রংপুর ব্যুরো
- ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:২৫
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202502/19692460_186.jpg)
তিস্তা পানি চুক্তি বাস্তবায়ন এবং অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করার দাবিতে আগামী ১৭ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তার ২৩০ কিলোমিটার পাড়ে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণকালের লাগাতর কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে গান, কবিতা, অভিনয় ও স্মৃতিচারণের মাধ্যমে ২০ লাখ মানুষ উপস্থিতির টার্গেট নিয়েছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর মহানগরীর একটি হোটেলে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান প্রধান সমন্বয়ক আসাদুল হাবিব দুলু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়ক শামসুজ্জামান শামু, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজ উন নবী ডন, আনিছুর রহমান লাকু, এমদাদুল হক ভরসা প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, ‘তিস্তা অববাহিকার নীলফামারীর ডিমলার ছাতনাই থেকে শুরু করে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম হয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পর্যন্ত তিস্তা অববাহিকার দু’ পাড়ে লাগাতার দু’ দিনের এ কর্মসূচি পালন হবে। এর মধ্যে ৪৫টি পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হবে সমাবেশ, নাটক, গান, অভিনয় এবং মানববন্ধন। এর মাধ্যমে তুলে ধরা হবে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে মরা খালে পরিণত হওয়া তিস্তা অববাহিকার লাখ লাখ মানুষের জীবন এবং জীবিকা নিয়ে দুর্দশার চিত্র।’
কর্মসূচির প্রথম দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাপনী দিনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি থাকবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আয়োজকদের আশা দু’ দিনের এই রাত-দিনের কর্মসূচিতে দু’ পাড়ে অন্তত ২০ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। কর্মসূচি নিয়ে তিস্তার দু’ পাড়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদসহ তিস্তা আন্দোলনের সাথে যুক্ত অববাহিকার সব সংগঠন।
এ বিষয়ে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, ‘তিস্তা নদীর রক্ষা আন্দোলন এর লাগাতার কর্মসূচি হবে ঐতিহাসিক কর্মসূচি। এর মাধ্যমে ভারতের একতরফা নীতির মাধ্যমে তিস্তা নদীকে মরা খালি পরিণত করে উত্তরের দু’ কোটি মানুষের জীবন এবং জীবিকাকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে তার তীব্র প্রতিবাদ। একইসাথে অন্তর্বর্তী সরকার যেন মহাপরিকল্পনার কাজ শিগগিরই শুরু করে সেই দাবিতে আরো একত্র হবে পাড়ের জনগণ।’
পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর তিস্তা অববাহিকার দু’ পাড়ে বিশ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়। প্রতি বছর ক্ষতি হয় এক লাখ কোটি টাকারও বেশি। এ কারণে উত্তরের অর্থনীতি পঙ্গু। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের পাশাপাশি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তিস্তা নদীকে ঘিরে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ফিরে আসবে এই অঞ্চলে। পাশাপাশি এই অঞ্চলের দু’ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষা হবে।