০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪২৩১, ৬ শাবান ১৪৪৬
`

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কারমাইকেল কলেজের ফ্যাসিবাদের সব চিহ্ন মুছে দিলো শিক্ষার্থীরা

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কারমাইকেল কলেজের ফ্যাসিবাদের সব চিহ্ন মুছে দিলো শিক্ষার্থীরা - ছবি : সংগৃহীত

বুলডোজার কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ ফজিলাতুন্নেছাসহ শেখ হাসিনা নামাঙ্কিত বিভিন্ন স্থাপনার নাম গুঁড়িয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টায় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে চার শতাধিক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে মুজিব বাদ নিপাত যাক শিরোনামে বিক্ষোভ বের করে। এরপর তারা প্রশাসন ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর মুরালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং নাম ফলক গুঁড়িয়ে সেখানে মুক্তমঞ্চ লিখে দেয়। এরপর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে। এখান থেকে নাম ফলক সরিয়ে শিক্ষার্থীরা লিখে দেন বিজয় ২৪ হলো। এরপর তারা মিছিল নিয়ে যায় ভিসির বাংলোর পাশে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে। সেখানে নামফলকটি গড়িয়ে দিয়ে মিছিল নিয়ে আবারো মুক্তমঞ্চে আসে তারা। সেখানে শেখ হাসিনার একটি ছবিতে লাথি দিয়ে পদদলিত করার পর দেয়ার পর তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, সূচিতে যোগ দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন জানান, আবু সাঈদের ক্যাম্পাস রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আমরা ফ্যাসিবাদের কোনো চিহ্ন রাখবো না। সে কারণেই আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদের যত চিহ্ন আছে সেগুলো মুছে দিলাম। দিল্লি থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে নানাভাবে ফ্যাসিবাদের উস্কানি দিচ্ছে। আর এই উস্কানির বিরুদ্ধেই এই বুলডোজার কর্মসূচি পালন করছি আমরা। আমাদের সাথে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ।

কর্মসূচিতে অংশ নেয়া আরেক সমন্বয়ক জাহিদ হাসান জয় জানান, আওয়ামী লীগ সরকার একটি ফ্যাসিস্ট সরকার ছিল। জার্মানিতে যদি আমরা লক্ষ্য করি এছাড়াও পৃথিবীর যে সব দেশে ফ্যাসিজম ছিল। সেসব রাষ্ট্রে বিপ্লবীরা কোনো ফ্যাসিজমের চিহ্ন রাখেননি। আমরা সেই দিক বিবেচনা করেই আজকে বুলডোজার কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় এবং এই রংপুরের সকল স্তরে থাকা ফ্যাসিজমের চিহ্ন মুছে দিলাম। এর মাধ্যমে আমরা একটি বার্তা দিলাম ফ্যাসিজমের আর কোনো চিহ্ন নতুন প্রজন্মের কাছে থাকবে না।

কর্মসূচিতে অংশ নেয়া সাধারণ শিক্ষার্থী আলভির জানান, পতিত হাসিনা পালিয়ে গিয়ে ভারত থেকে অনলাইনে কথা বলার মাধ্যমে বাংলাদেশের ১৮ কোটি ছাত্র-জনতাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয় এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকেও চ্যালেঞ্জ করেছেন ফ্যাসিবাদের জননী হাসিনা। সে কারণেই মুজিববাদের সব নিশানা মুছে দিয়ে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতেই তাদের এই উদ্যোগ।

এ সময় তারা বলেন, হাসিনা ভারতে পালিয়ে থেকে অনলাইনে বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। বুলডোজার কর্মসূচির মাধ্যমে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এর মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের কবর রচনা হয়েছেও বলে দাবি করেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
৭৫ হাতঘড়ি প্রধানমন্ত্রীর! রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের একচ্ছত্র ক্ষমতা খর্ব ভারতে ‘বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী’ ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পাকিস্তান বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমা শক্তি সুবিধাজনক মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে : ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিএলআরআইয়ে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত কোয়েল পাখির মৃত্যুর তথ্য গোপন করেছেন ডিজি সাপাহার সীমান্তে বাংলাদেশী যুবককে নিয়ে গেছে বিএসএফ বিএনপি নেতা পিন্টু হত্যার অভিযোগে রাজশাহীতে হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্যকোটা বাতিল প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ৬৯ হাজার মানুষের পাসপোর্ট সমস্যার সমাধান হবে : সৌদি রাষ্ট্রদূত কুমিল্লায় যুবদল নেতা তৌহিদুল হত্যায় ৬ জনের নামে মামলা

সকল