২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৩ রজব ১৪৪৬
`

জালেমরা পালিয়েছে, ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবেই : জামায়াত আমির

কুড়িগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান - ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘জালেমরা পালিয়েছে, ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবেই।’

তিনি বলেছেন, ‘গত ১৫ বছরে আমাদের দু’জন আমির, একজন সেক্রেটারি জেনারেল, তিনজন নায়েবে আমিরসহ ১১ জন দায়িত্বশীল নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। মুমিনরা কখনো কারো কাছে মাথা নত করে না। ইনসাফ প্রতিষ্ঠার লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম চলবে।’

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বৈষম্যহীন, মানবিক ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাবে বলেও উল্লেখ করেন।

ডা. শফিকুর রহমান আরো বলেন, ‘বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ও তার সহযোগীরা ২৬ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারপর তারা পালিয়েছে, এসব টাকা খুঁজে বের করে দেশে ফেরত আনতে হবে এবং অর্থ পাচারের সাথে জড়িতদের বিচার করে কারাগারে পাঠাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মজলুমদের দল। আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। তবুও আমাদের সংগ্রাম থামেনি। আমরা এই দেশের প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য বৈষম্যহীন ও মানবিক বাংলাদেশ গড়া। দেশ বাঁচলে আমরা সবাই বাঁচব।’

জামায়াত আমির আরো বলেন, ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ। যারা শহীদ হয়েছেন, তারা আমাদের জাতীর আইকন। তাদের শহীদ হওয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে সাহসী মানুষ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে পারে না। আমরা শহীদদের কাছে ঋণী এবং তাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। এ ঋণ আমাদের আজীবন শোধ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ফেলানী খাতুনের করুণ মৃত্যু এখনো সবার মনে অমলিন দাগ কেটে রেখেছে। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ১৫ বছরের নিরপরাধ কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে। তার লাশ দীর্ঘ সময় কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকার সেই হৃদয়বিদারক দৃশ্য আজও মানবতার প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।’

সম্মেলনে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ‘দেশের মানুষ আর কোনো জুলুমকারীকে সহ্য করবে না। এক জালেম পালিয়েছে, নতুন কোনো জালেম এলেও তাকেও বিদায় করা হবে। মানুষ এখন মুক্তি চায়, তারা জুলুমের শাসন থেকে মুক্ত হতে চায়।’

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলা আমির মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকী বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা জনগণের কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ তাদের সঠিক জবাব দিয়েছে। আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছি। আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে মানবিক বাংলাদেশ গড়ব।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক আ. আজিজ নাহিদ বলেন, ‘তরুণরা কখনো হার মানেনি এবং কখনো হার মানবে না। তাদের সাহস, দৃঢ়তা এবং ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করার অদম্য মনোভাবই তাদের প্রকৃত শক্তি।’

সম্মেলন শুরুর আগে থেকেই কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। উপস্থিত জনতা কলেজ মাঠ ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত এই সম্মেলন নজর কেড়েছে সবার। কর্মসূচির প্রতিটি মুহূর্ত ছিল উৎসবমুখর।


আরো সংবাদ



premium cement
সাইকেল চালাতে গিয়ে সাইন্স ল্যাব থেকে নিখোঁজ ইশান সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী কৃষককে ছেড়ে দিয়েছে বিএসএফ ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ নিয়ে ‘পানিযুদ্ধে’ জড়াচ্ছে চীন-ভারত! ছুটির দিনে বাণিজ্য মেলায় উপচে পড়া ভিড় সরিষাবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত নয়া দিগন্তের ইব্রাহীম পাগলের প্রলাপের মতো গুজব ছড়ানো হচ্ছে : আইন উপদেষ্টা পরকীয়া প্রেমিককে খুন করে টয়লেটের ট্যাংকে ফেলে রাখল প্রেমিকা টেকনফে পাহাড় থেকে অপহৃত ১৫ জনকে উদ্ধার, গ্রেফতার ২ জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে গণঅভ্যুত্থানের সুফল স্থায়ী হবে না : খেলাফত মজলিস জুলাই আন্দোলনে আহত ৭ জনকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার হওয়া ৪ গরু নিয়ে বিপাকে আমতলী থানা পুলিশ

সকল