সৈয়দপুরে ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয়, আটকা শতাধিক যাত্রী
- সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা
- ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৩০
শীত মানেই বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জনজীবনে কঠিন পরিস্থিতি। ঘন কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহে জবুথবু চারপাশ। এবারের শীতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। পৌষ মাসে শীতের তেমন প্রকোপ না থাকলেও মাঘ শুরু হতেই দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। এর ফলে বিঘ্ন ঘটেছে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ উঠানামার শিডিউলে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ১টা পর্যন্ত সৈয়দপুরে কোনো ফ্লাইট অবতরণ বা উড্ডয়ন করেনি। ফলে ৪টি ফ্লাইটের শতাধিক ঢাকাগামী যাত্রী আটকা পড়েছেন।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ঢাকা থেকে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে আসা ইউএস বাংলা এয়ার লাইন্স-এর ১৮৩ নম্বর ইউএস বাংলা একটি ফ্লাইট অবতরণ করে সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে। বুধবার এই ফ্লাইটটিসহ ৪টি ফ্লাইট আসেনি। ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় বিমান উঠানামায় ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কায় ফ্লাইটটি ঢাকা থেকেই উত্তরণ করেনি।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানিয়েছেন, রাত থেকেই সৈয়দপুরসহ নীলফামারী জেলা তথা উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে। এর ফলে দৃষ্টিসীমা কমে দাঁড়িয়েছে ১০০০ মিটার। আর সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল মাত্র ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার আতাউর রহমান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে দাঁড়িয়েছে ১০০০ মিটার। কিন্তু বিমান অবতরণের জন্য প্রয়োজন ন্যূনতম ১ হাজার ৫০০ মিটার। এ কারণে ফ্লাইট বিপর্যয় ঘটেছে। সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কোনো বিমান উঠানামা করেনি। সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট, ১২টার এয়ার এস্ট্রার একটি, ১২টা ৩০ মিনিটের বাংলাদেশ বিমান এবং বেলা ১টায় নভো-এয়ারের একটিসহ মোট ৪টি ফ্লাইট এখনো আসতে পারেনি। তবে এই ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়নি। বেলা বাড়ার সাথে আবহাওয়ার উন্নতি ঘটলে ফ্লাইটগুলো যথারীতি আসা-যাওয়া করবে।
বিমান না আসায় সৈয়দপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে আসা শতাধিক যাত্রী আটকা পড়েছেন। এর মধ্যে কিছু যাত্রী ফিরে গেলেও অনেকে গন্তব্যে যাওয়ার অপেক্ষায় (এ খবর লেখা পর্যন্ত বেলা ১টা ৩০) বিমানবন্দরেই অবস্থান করছেন। এতে তারা বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা