কুড়িগ্রামে প্রকৃতির সাথে যেন কুয়াশার মিতালী
- জাকারিয়া শেখ, ফুলবাড়ি (কুড়িগ্রাম)
- ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:০৪
দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে প্রকৃতির সাথে যেন কুয়াশার মিতালী, যা শীত মৌসুমে প্রকৃতির সৌন্দর্যকে নতুন রূপে প্রকাশ করে। শীত এলেই এখানকার মাটি, মানুষ ও প্রকৃতি যেন কুয়াশার মোড়কে জড়িয়ে পড়ে। বিশেষত ফুলবাড়ি উপজেলা, যা তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র এবং দুধকুমার নদীর সান্নিধ্যে অবস্থিত- এই সময় আরো মোহনীয় হয়ে ওঠে।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় সূর্যের দেখা পাওয়া প্রায় বিরল হয়ে দাঁড়ায়, আর ঘন কুয়াশায় ঢাকা প্রাকৃতিক পরিবেশ এক অন্য রকম সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। নদীর তীরে কুয়াশার আবরণ আর শিশিরজমা মাঠের দৃশ্য যেন প্রকৃতির সাথে কুয়াশার এক অনন্য মিতালীর গল্প বলে।
ফুলবাড়ী উপজেলাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তঘেঁষা এলাকা, শীত মৌসুমে প্রচণ্ড ঠান্ডায় আচ্ছন্ন থাকে। এখানকার বেশিভাগ মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। তবে শীতের ঘন কুয়াশা ও তীব্র ঠান্ডা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলে। সকালে মাঠে কাজ করতে যাওয়া বা বাজারে যাওয়া হয়ে ওঠে বেশ কষ্টসাধ্য।
তবুও শীতকালের এই প্রকৃতি ফুলবাড়িকে পর্যটনের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে তুলে ধরতে পারত। কিন্তু এখনো এখানে পর্যটন সম্ভাবনা সেভাবে বিকশিত হয়নি। তিস্তা ও দুধকুমার নদীর ধারে ঘন কুয়াশায় ঢাকা প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই স্থানীয় মানুষ ভিড় করেন।
তবে প্রকৃতির এই সৌন্দর্যের বিপরীতে এখানকার মানুষের শীতকালীন সংগ্রাম একটি কঠিন বাস্তবতা। নিম্ন আয়ের মানুষেরা পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। বিশেষত শিশু ও বয়স্করা শীতের তীব্রতায় বেশি ভুগছেন। স্থানীয় প্রশাসন এবং বিভিন্ন এনজিও শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলা প্রকৃতির অপরূপ রূপ ধারণ করলেও এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে প্রয়োজন আরও কার্যকর পদক্ষেপ। শীতের তীব্রতা এবং কুয়াশার আবরণের সাথে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের লড়াই কুড়িগ্রামকে এক অনন্য জেলার পরিচয় দিয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা