১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৬
`
রংপুরে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান

‘রাজনৈতিক প্রভাব ও সরকারের হস্তক্ষেপে গণমাধ্যমগুলো সঠিক পথে চলতে পারেনি’

রংপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে বিভাগের সাংবাদিকদের সাথে কমিশনের মতবিনিময় সভায় কথা বলছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ। ১৯ জানুয়ারি-রোববার। - ছবি : নয়া দিগন্ত

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, বিগত সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব এবং সরকারের হস্তক্ষেপে মূলধারার গণমাধ্যমগুলো সঠিক পথে চলতে পারেনি। এ কারণে গেল ১৫ বছরে আমরা মূলধরার গণমাধ্যম ব্যর্থ হয়েছি বলেই মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভরশীল হয়েছে।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে বিভাগের সাংবাদিকদের সাথে কমিশনের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় কমিশন সদস্য অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, শামসুল হক জাহিদ, মোস্তফা সবুজ, রংপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের সদস্যসচিব সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদল, দৈনিক দাবানলের সম্পাদক খন্দকার মোস্তফা সরওয়ার, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরপিইউজে সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, সাধারণ সম্পদক সরকার মাজহারুল মান্নানসহ বিভাগ ও জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা ঢাকার বাইরে সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

সবার বক্তব্য শোনার পর কথা বলেন কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ। তিনি বলেন, ১৫ বছরে আমরা মূলধারার গণমাধ্যম ব্যর্থ হয়েছি বলেই মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভরশীল হয়েছে। অনলাইন মিডিয়ার ওপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। হঠাৎ হঠাৎ যে অনলাইন মিডিয়া গড়ে উঠেছে সেই সমস্ত অনলাইন মিডিয়াকে বেশি বিশ্বাস করেছে।

মূলধারার গণমাধ্যম কেন ব্যর্থ হলো তা উল্লেখ করতে গিয়ে কামাল আহমেদ বলেন, আমরা মূলধারার গণমাধ্যম ব্যর্থ হয়েছি কেনদ? মূল ধারার গণমাধ্যম ব্যর্থ হয়েছি রাজনীতির কারণে। রাজনৈতিক প্রভাব। সরকারের বিভিন্ন স্বৈরাচারী পদক্ষেপ। মামলা-মোকাদ্দমা ও আইন দিয়ে বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ ও নিপীড়নের চেষ্টা। ভয়-ভীতি প্রদর্শন। আবার একইভাবে কর্পোরেট ডিড। বড় বড় মালিকদের যে করপোরেট স্বার্থ। সেই কর্পোরেট স্বার্থে অতি মুনাফার লোভে সেগুলো থেকে তারা সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করেছেন। তাদের স্বার্থে আত্মরক্ষার জন্য। তাদের স্বার্থে তাদের পক্ষে ব্যবহারের জন্য। তখন দেখা গেছে সংবাদমাধ্যম মানুষের যে স্বার্থ, মানুষের যে ভোগান্তি, সেই ভোগান্তির কথা না লিখে বরং তাদের কথাই লিখছে। মালিকদের কথাই লিখছে। যে মালিকের ব্যবসায়িক স্বার্থ উপকৃত হবে, লাভবান হবে। ফলে এটা একটা দুষ্টু চক্রে পরিণত হয়েছে। এই দুষ্টুচক্র না ভাঙলে গণমাধ্যমের সমস্যার সমাধান খুব সহজেই আসবে না।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান নিজে যেহেতু ভালোভাবে চলছে না, সঠিকভাবে চলছে না, তখন তার কর্মীদেরকেও বঞ্চিত করছে। সেখানে অনেকগুলা কারণ রয়েছে। তার একটা হলো অনেক বেশি সংখ্যক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান। অনেক বেশি সংখ্যক পত্রিকা। অনেক বেশি সংখ্যক টেলিভিশন। এগুলোর মধ্যে সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ নেই। পরিবেশটা এমনই, যেখানে যার যত রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে, যার যত কালো টাকার দাপট আছে, সে তত বেশি লাভবান হচ্ছে, তত বেশি শক্তিশালী হচ্ছে এবং যেহেতু রাজনৈতিক ক্ষমতা রয়েছে, তার টাকার প্রভাব রয়েছে, সে কারণে তার গণমাধ্যমের ওপরে প্রভাবটা জোরালো ও শক্তিশালী। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা কিছু করতে পারছি না।

মতবিনিময় সভায় বিভাগের প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার দেড় শতাধিক গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement
হাসপাতালে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ভারতীয় প্রেমিকযুগল সীমান্তে গ্রেফতার গোলাপের যুক্তরাষ্ট্রের ৯টি স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ ভালুকায় জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত চকরিয়ায় আলোচিত সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল মিয়ানমারে যেকোনো গোষ্ঠীর অপরাধ তদন্ত করবে জাতিসঙ্ঘ বাংলাদেশের জন্য সুদের হার কমানোর কথা ভাবছে চীন : রাষ্ট্রদূত ভেড়ামারায় বিএনপির উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ  রায়পুরায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ২ যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের গণতান্ত্রিক পথচলায় সমর্থন জানিয়েছে : মার্কিন রাষ্ট্রদূত

সকল