পঞ্চগড়ের সব চা কারখানা দু’মাস বন্ধ থাকবে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৩১
পঞ্চগড় জেলায় চা বাগানগুলোয় সুষ্ঠুভাবে প্রুনিং (ছাঁটাই) কার্যক্রম পরিচালনার জন্য টানা দু’মাস চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়টিতে বাগান থেকে চা পাতা উত্তোলনও হবে না।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয় জেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, জানুয়ারির গত ১ তারিখ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে প্রুনিং বা ছাঁটাই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এতে যেমন নতুনভাবে চায়ের পাতা তৈরি হবে, তেমনি আগামী দু’মাস পরিচর্যায় চায়ের গুণগত মান বাড়বে।
জানা গেছে, ২০০০ সালে পঞ্চগড়ে সমতল ভূমিতে চা চাষ শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারীতে ১০ হাজার একর জমিতে চা উৎপাদন শুরু হয়। এদিকে প্রচণ্ড খরতাপ ও বাগান মালিকদের চা পাতার ন্যায্য মূল্য না দেয়াসহ বিভিন্ন কারণে চলতি মৌসুমে গেল বারের চেয়ে ৩৪ লাখ কেজি চা কম উৎপাদন হয়েছে। অপরদিকে এক হাজার একর জমির চা বাগান নষ্ট করেছে বাগান মালিকরা।
এদিকে নতুন মৌসুমের সাথে সকল সঙ্কট নিরসনসহ চাষিদের উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে চা বোর্ড ও জেলা প্রশাসন।
পঞ্চগড় জেলায় চা পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা রয়েছে ২৯টি, ঠাকুরগাঁওয়ে রয়েছে একটি।
কর্মকর্তা আরিফ খান বলেন, পঞ্চগড়ের চাকে কিভাবে আরো ভালো করা যায় সে লক্ষ্যে সকল সমস্যা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। মৌসুম শেষ হওয়ায় জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা দু’মাস প্রুনিং চলবে। এতে নতুন মৌসুমে সুন্দর গুণগত মানের চা পাতা পাওয়া যাবে। আগামী ১ মার্চ থেকে আবার কর্মচঞ্চল হবে এখানকার চা শিল্প।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা