শনিবারে লালমনিরহাটে ড. আজহারীর মাহফিল, একদিন আগেই মাঠ পরিপূর্ণ

জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী শনিবার লালমনিরহাটের আসছেন। এই মাহফিল ঘিরে ইতোমধ্যে লালমনিরহাট ও আশপাশের জেলাজুড়ে তার ভক্তদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।

শনিবার মাহফিল হওয়ার কথা থাকলেও মূল প্যান্ডেলে জায়গা নেয়ার জন্য এক দিন আগেই বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিরা এসে জায়গা দখলে নিয়েছেন।

শনিবারের মাহফিলের বিষয়ে ড. মিজানুর রহমান আজহারী ফেসবুক পেজে লিখেন, ‘রংপুর বিভাগের বন্ধুরা,
ইনশাআল্লাহ আগামীকাল থাকছি— লালমনিরহাটের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাট-এর উদ্যোগে আয়োজিত তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে। আসুন, দেখা হবে, কথা হবে।’

এই মাহফিলে কমপক্ষে ১০-১২ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে বলে ধারণা আয়োজকদের।

এদিকে মাহফিল ঘিরে তৎপর লালমনিরহাটের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিপুলসংখ্যক আনসার, পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীসহ রয়েছে আয়োজকদের স্বেচ্ছাসেবকের বিশাল কর্মী বাহিনী।

আগামী শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে লালমনিরহাট পৌঁছে যোহর নামাজ শেষে বয়ান পেশ করার কথা রয়েছে মিজানুর রহমান আজহারীর।

আয়োজকরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশের বাইরে নির্বাসিত ছিলেন বিশ্ববরেণ্য মুফাসসির ড. মিজানুর রহমান আজহারী। গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে শেখ হাসিনা সরকার পালিয়ে গেলে দেশে ফিরে আসেন তিনি। এরপর দেশের মানুষের আগ্রহে বিভিন্ন স্থানে মাহফিল শুরু করেন তিনি, যার ধারাবাহিকতায় আগামী শনিবার লালমনিরহাটে মাহফিল করবেন আজহারী।

ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাট ঐতিহাসিক এই মাহফিলের আয়োজন করছে। আয়োজকরা জনসমাগম বিবেচনা করে দর্শকদের জন্য পাঁচটি মাঠ প্রস্তুত করছেন। জেলার সবচেয়ে বড় সোহরাওয়ার্দী মাঠে করা হচ্ছে মূল মঞ্চ। এ ছাড়াও কালেক্টরেট মাঠ, পিসি স্কুল মাঠ এবং নারীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে জেলা স্টেডিয়াম মাঠ। সোহরাওয়ার্দীসহ সকল মাঠে থাকবে প্রজেক্টরের ব্যবস্থা।

ঐতিহাসিক এ মাহফিল সফল করতে ইতোমধ্যে মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ প্রায় ১০০ ভাগ শেষ করেছেন আয়োজকরা। এছাড়া সকল ধরনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির সাথে জেলা প্রশাসনের বৈঠকও সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে জননিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিগত দিনের মাহফিলে ঘটে যাওয়া চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সকল ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে যাবে মাহফিল ও তার আশপাশের এলাকা।

মাহফিলের নিরাপত্তায় থাকবে বিপুল সংখ্যক আনসার ও পুলিশ সদস্য। থাকবে র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল। এছাড়াও সাদা পোশাকে থাকবে পুলিশ সদস্যরা। আয়োজকদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন প্রায় পাঁচ হাজার। সব মিলিয়ে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হবে পুরো লালমনিরহাট শহর।

ঐতিহাসিক এ মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।

মাহফিলের সভাপতি আব্দুল হাকিম বলেন, ‘মাহফিল সফল করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয়েছে মাহফিলের মাঠগুলোতে। পুরো শহরে সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে বক্তা ও অতিথিগণের বক্তব্য শুনতে পারবে মানুষ।’

লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছে আনসার, পুলিশ র‌্যাবসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। আয়োজকদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবে প্রায় পাঁচ হাজার।’