দিনাজপুরে সেতাবগঞ্জ চিনিকল চালু করার কার্যক্রম শুরু

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌর এলাকায় অবস্থিত সেতাবগঞ্জ চিনিকল লিমিটেড চালু করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বৃহৎ এই চিনিকলটি ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে যায়। চিনিকলটি পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।

চিনিকলটির উৎপাদনে যেতে প্রায় দু’বছর সময় লাগবে। উৎপাদন আবার শুরু হলে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে খুশি স্থানীয়রা।

রোববার বিকেলে সেতাবগঞ্জ চিনিকল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আবুল বাশার এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘১৯৩৩ সালে তিন হাজার ৭৮৩ একর জমির ওপর বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জে চিনিকল স্থাপন করা হয়। ১৯৮২ সালে এটি আধুনিকায়ন করা হয়েছিল। এই কলে চিনি ছাড়াও তৈরি হতো জৈব সার, চিটাগুড় ও মন্ডা। লোকসানের মুখে ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে যায় চিনিকলটি। এতে বিপাকে পড়েন আখ চাষিসহ সংশ্লিষ্ট ছয় হাজার শ্রমিক এবং চিনিকলের এক হাজার ৯৬ জন কর্মী।’

স্থানীয় বাসিন্দা আমজাদ আলী বলেন, ‘এই সুগার মিলে আমার বাপ-দাদা কাজ করেছেন। আমি নিজেও কাজ করেছি। গত চার বছর ধরে সুগার মিল বন্ধ থাকায় আমি বিপাকে পড়েছি। অর্ন্তবর্তী সরকার আবারো মিলটি চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। চিনিকলটি পুনরায় চালু হলে আমরা আবারো নতুন করে শুরু করতে পারব।’

মিলের কয়েকজন শ্রমিক বলেন, আমাদের অন্য কোনো কাজ নেই। এই মিলে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় আমরা একেবারেই অচল হয়ে পড়েছি। অন্তর্বর্তী সরকার আবারো মিলটি চালু করবে, এই ঘোষণায় আমরা উৎফুল্ল।’

এলাকায় চাষিরা জমিতে আখ চাষ শুরু করেছেন। চাষিরা বলেন, মিল চালু হলে আমাদের আর কোনো চিন্তা থাকবে না। আমরা আখ চাষ করে পুরো দমে কাজ করতে পারব। এতে আমাদের কষ্ট দূর হবে।’

চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, মিল চালু করার বিষয়টি পর্যাপ্ত আখ চাষের ওপর নির্ভর করছে। ইতোমধ্যে কৃষকরা আখ চাষ শুরু করেছেন। চাহিদা মোতাবেক আখ চাষ করা হবে।

তিনি বলেন, ‘সরকারি ঘোষণা আসার পর থেকেই মিলটি চালু করতে মেরামত করার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে এবং খুব শিগগিরই মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। মিল চালু করতে এক হাজার ৯৬ জন লোকের প্রয়োজন। আশা করছি, আগামী প্রায় দু’বছরের মধ্যে মিল চালু করতে সকল কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’

সূত্র : বাসস