০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬
`

কুড়িগ্রামে শীত উপেক্ষা করে ইরি চাষে ব্যস্ত কৃষক

- ছবি : সংগৃহীত

কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার সাথে সাথে স্বস্তি ফিরে এসেছে কৃষকের মাঝে। আগাম ইরি -বোরো আবাদের জন্য তারা মাঠে নেমে পড়েছে। জলাশয়, খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় সাথে সাথে আগাম ইরি বোর চারা রোপন শুরু করে দিয়েছে কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এবারে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ লাখ ৭ হাজার ৩৬০ হেক্টর। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার পাঁচ শতাংশ রোপন সম্পন্ন হয়েছে। হাইব্রিড, উপসি এবং স্থানীয় জাতের ধান চাষের এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আমরা আশা করছি, এবারে ধানের দাম কিছুটা বেশি পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে ধান আবাদের প্রতি আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবারের বেশি ধানের চাষ হবে।

মোগলবা ইউনিয়নের কৃষক মনিরুল ইসলাম, রোকনুজ্জামান ও মোজাম্মেল জানান, বিদ্যুৎ ও সার সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে কৃষকরা ধান চাষে লাভবান হবে। সারের দাম নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে কৃষকরা।

উলিপুর উপজেলার পৌরসভার বাসিন্দা খোরশেদ আলমটুকু জানান, বিদ্যুৎ সার ও ডিজেলের দাম কৃষকের নাগালের মধ্যে রাখতে পারলে এবারের ধানের আবাদ ভালো হবে। উৎপাদন ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরতে তিনি সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

খাদ্য ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান জানান, বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভর্তুকি দিয়ে হলেও সরকারকে সার বিদ্যুৎ এবং ডিজেলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, কীটনাশকের দাম কমাতে হবে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগই পারে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে। কৃষকের উৎপাদন ব্যয় এবং চালের বাজার দরের ওপর ভিত্তি করে ধান, চাল ও গমের সরকারি ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।

তিনি মনে করেন, ডলার খরচ করে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করার চেয়ে কৃষককে ভর্তুকি দেয়াই শ্রেয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ সোমবার মিনিমাম তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরো সংবাদ



premium cement