০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬
`

কুড়িগ্রামে পুরনো কাপড়ের দোকানে ভীড়, কমেনি কমেনি শীতের তীব্রতা

কুড়িগ্রামে পুরনো কাপড়ের দোকানে ভীড়, কমেনি কমেনি শীতের তীব্রতা - নয়া দিগন্ত

কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা একটু বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা। তাই শীতের কাপড়ের দোকানগুলোতে বাড়ছে মানুষজনের ভীড়।

দিনের বেশিভাগ সময় জুড়ে কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে পুরো জনপদ। শীতের প্রকোপের সাথে পাল্লা দিয়ে শীতজনিত অসুখে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সগুলোতে। নিম্ন আয়ের মানুষজন পুরনো শীতের কাপড় ও খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

কনকনে শীত উপেক্ষা করে কৃষকেরা বোরো আবাদের জন্য বীজতলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। শীতের সবজির ভালো দাম পাওয়ায় সবজি খেতেও ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।

কুড়িগ্রামের ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার মানুষজন এই শীতে ভয়াবহ বিপাকে পড়েছেন। খেটে খাওয়া মানুষজনের অনেকেই কনকনে শীতে কাজে বের হতে পারছেন না।

বেলগাচা ইউনিয়নে আসাদুজ্জামান জানান, অন্যবারের মতো এবার তেমন কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে না। শীতার্ত মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা খুবই প্রয়োজন।

৯ নম্বর ভিতরবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিউল আলম শফি জানান, এবারে মাত্র ২১২ পিস কম্বল শীতার্ত মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আমার ইউনিয়নে হাজারো শীতার্ত মানুষদের শীত নিবারণে সহায়তা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। নাগেশ্বরী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নেরও একই অবস্থা।

আবহাওয়া অফিস জানায়, গত দু’দিন থেকে তাপমাত্রা একটু একটু করে বাড়ছে। কুড়িগ্রামে আজকের তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

জেলা প্রশাসন জানায়, এখন পর্যন্ত ৪৯ লাখ টাকা এবং ১২ হাজার কম্বল উপজেলাগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে তা শীতার্ত ও দুস্থ মানুষজনের কাছে বিতরণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement