ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের ইন্তেকাল
- ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৪০
ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রবীণ সদস্য (রুকন) ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে গত ২ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় ৬৮ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। তিনি স্ত্রী, ৪ পুত্র ও ২ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন।
ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন এর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান গতকাল (৩ জানুয়ারি) এক শোকবাণী দিয়েছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবে মায়ের মমতা দিয়ে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চরম প্রতিকূল পরিবেশেও তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে ফোরামের কাজ আঞ্জাম দিয়েছেন। কার্যত তিনি ছিলেন ফোরামের প্রাণ। আমি তাঁর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁকে ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁর গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজন, প্রিয়জন ও সহকর্মীদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।
এ দিকে ২ জানুয়ারি রাত সোয়া ৯টায় রাজধানী ঢাকার উত্তরাস্থ আই ই এস স্কুল মাঠে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের ইমামতিতে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ৩ জানুয়ারি বাদ জুমা নীলফামারী জেলা সদরের টুপামারীস্থ নিজ গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। দ্বিতীয় নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম।
মরহুম প্রকৌলশী গিয়াস উদ্দীন একজন অনুগত, আমলদার ও সংগঠনের নিবেদিত প্রাণ দায়িত্বশীল ছিলেন : মাওলানা আবদুল হালিম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, মরহুম প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দীন সকল দিক থেকে একজন অনুগত, আমলদার এবং সংগঠনের প্রতি নিবেদিত প্রাণ দায়িত্বশীল ছিলেন। তিনি তার সংগঠনের বড় দায়িত্বে থাকার পরও অর্থের প্রতি তার কোনো লোভ ছিল না।
শুক্রবার বাদ জুমআ মরহুম গিয়াস উদ্দীনের নামাজে জানাজাপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় মাওলানা আবদুল হালিম এসব কথা বলেন।
মাওলানা আবদুল হালিম আরো বলেন, আমিরে জামায়াতের দৃষ্টিতে একজন ভালো মানুষ হওয়া কঠিন ব্যাপার। আমিরে জামায়াত তার ফেসবুকে যে নোট দিয়েছেন এতে তিনি মরহুম গিয়াস উদ্দীনের উপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এটার অন্যতম কারণ হচ্ছে অনেক সময় অনেক জ্ঞানী-গুণী পাওয়া যায় কিন্তু অনুগত ও আমলদার মানুষ পাওয়া খুবই কঠিন।
তিনি বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের জন্য অনেক কাজ করেছেন মরহুম গিয়াস উদ্দীন। কাজের প্রতি অনেক যত্নশীল ছিলেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে তিনি অনেক কাজ করেছেন। নতুন বাংলাদেশ গঠনে তার অনেক পরিকল্পনা ছিল। নতুন বাংলাদেশ গঠনে তিনি যে নিয়ত করেছিলেন আশা করি আল্লাহ তায়ালা এই কাজে বরকত দিবেন এবং পরবর্তী পর্যায়ে যারা সংগঠনটির দায়িত্বে আসবেন তারা তাকে অনুসরণ করে কাজ চালিয়ে যাবেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা আল্লাহর প্রিয় একজন গোলামকে হারিয়ে ফেললাম। আমরা দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুক। সেই সাথে শোকাহত পরিবারকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করেন।
শুক্রবার বাদ জুমআ মরহুমের গ্রামের বড়ি নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী চৌধুরী পাড়া ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। দ্বিতীয় নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা আবদুল হালিম। জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
জানাজাপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, জেলা সেক্রেটারি আন্তাজুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ড. খায়রুল আনাম, ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মরহুমের ছেলে মিনারুল হক প্রমুখ।
এছাড়া নামাজে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট আল ফারুক আব্দুল লতীফ, জেলা জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি প্রভাষক ছাদের হোসেন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মনিরুজ্জামান মন্টু, আব্দুল কাদিম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা