ঠান্ডায় কাবু লালমনিরহাট, একজনের মৃত্যু
- সাব্বির আহমেদ লাভলু, লালমনিরহাট
- ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:১১
লালমনিরহাটে একটানা ঘন কুয়াশা, হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডায় জুবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না, রাতে গুরি গুরি বৃষ্টির মতো শীত পড়ায় কাহিল বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থ মানুষ।
শুক্রবার সকালে ৭ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঠান্ডায় কাবু হয়ে জেলার তুষভান্ডার রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী ছাউনিতে ঘুমন্ত এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তুষভান্ডার রেলওয়ে স্টেশনের (ভারপ্রাপ্ত মাস্টার) মো: নিজাম উদ্দিন অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে তীব্র শীত আর ঠান্ডার কারণে হাটবাজারে লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে। কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে গ্রামের শ্রমজীবী মানুষজন বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি কাবু হয়েছেন। শীত নিবারণে অনেকেই খড়কুটা জ্বালিয়ে খানিকটা উষ্ণতা অনুভব করার চেষ্টা করছেন। তবে শীতের কাপড়ের দাম বেশি হওয়ার কারণে অনেকে বিপাকে পড়েছেন।
শীতার্তরা বলছেন, প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে শীতার্ত দুস্থ মানুষের ভরসা খড়কুটোর আগুন। একসাথে বসে ঠান্ডার দাপট থেকে রক্ষা পেতে আগুন জ্বালিয়ে শরীর তা দিচ্ছেন।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, লালমনিরহাটের আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা আরো কমে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঠান্ডা বৃদ্ধি ও স্থায়ী হওয়ার কারণে, জেলার সদর হাসপাতালসহ চার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিউমোনিয়া,শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমা জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
জেলার শীতার্ত মানুষেরা অভিযোগ করেছেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর শীতের পোশাক বিতরণের তৎপরতা অনেক কম।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচএম রকিব হায়দার বলেন, ঠান্ডার কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে আমাদের।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা