শীতে বিপর্যস্ত কুড়িগ্রাম, কমেছে তাপমাত্রা
- জাকারিয়া শেখ, ফুলবাড়ি (কুড়িগ্রাম)
- ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২২
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমাগত কমছে, যা লোকজনের জন্য ভয়াবহ দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। আজ শুক্রবারে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন।
শীতের প্রকোপ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে গোটা এলাকা। দিনেও সূর্যের দেখা নেই, রাস্তাঘাট ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত। যানবাহনগুলো বাধ্য হয়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে এই তীব্র ঠান্ডায় কাজ করা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পশ্চিম ধনীরাম চর এলাকার দিনমজুর সাহেব আলী বলেন, ‘এমন শীতে কাজ করতে পারছি না, বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। গরম কাপড়ের অভাবে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
প্রচণ্ড ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে শিশু ও বৃদ্ধরা। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে যারা খোলা আকাশের নিচে বা জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করেন, তারা শীত নিবারণের জন্য সংগ্রাম করছেন। অনেকেই রাতে একসাথে গাদাগাদি করে কম্বলের নিচে রাত কাটাচ্ছেন।
শীতের প্রভাবে কৃষিকাজেও স্থবিরতা নেমে এসেছে। কৃষকদের মাঠে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে, যার ফলে শস্য উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, ‘এ বছরে আজকের দিনটি কুড়িগ্রামের জন্য সবচেয়ে শীতল দিন। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই শীত আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।’
এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর এখনই উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে গরম কাপড় ও শীতবস্ত্র বিতরণ না করলে শীতজনিত রোগ ও দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা